মোয়াজ্জেম হোসেন, নওগাঁ
শহর ও গ্রাম গঞ্জে ছোট বড় অনেক রাস্তা রয়েছে। এই রাস্তা নিয়ে মানুষের কৌতুহলের শেষ নেই। রাস্তা মানেই রয়েছে অনিয়ম দুর্নিতীর অভিযোগ। তাই নওগাঁ জেলা উন্নয়ন প্রকল্পের চলমান রাস্তার কাজের অনিয়ম দুর্নিতীর অভিযোগে এলজিইডিতে দুদক চালিয়েছেন অভিযান। নিম্ন মানের ইট খোয়া বালু ও রাস্তার মাপ কম করার অভিযোগের ভিত্তিতে মঙ্গলবার দিনব্যাপী নওগাঁ সদর উপজেলা অফিসের রেকর্ডপত্র চেক করার পর হরিপুর বাধরাস্তা ও কুমুরিয়া ভাঙ্গা মসজীদ রাস্তার কাজ সরজমিনে পরিদর্শন করেন মেহেবুবা খাতুন রিতার নেতৃত্বে দুর্নীতি দমন কমিশন দুদকের একটি টিম। নওগাঁ সদর উপজেলা এলজিইডি অফিসের আওতায় চলমান রাস্তার কয়েকটি কাজের মধ্যে ২টি রাস্তার ইট, খোয়া, বালু, রাস্তার পরিমাপ ও রাস্তার পুরুত্ব যাচাই করেন। নওগাঁ এলজিইডি নির্বাহী প্রকৌশলী তোফায়েল আহম্মেদ বলেন যাচাই কালে প্রাথমিকভাবে অভিযোগের তেমন কোনো অনিয়ম পায়নি কর্মকর্তারা। সিডিউল অনুযায়ী হরিপুর রাস্তার প্রস্থ হওয়ার কথা ৩.৭০ মিটার সেখানে পেয়েছেন ৩.৭০ মিটার এবং পুরুত্ব ৭৫ মিলিমিটার এর স্থলে পেয়েছেন ৮০ মিলিমিটার। কুমুরিয়া ভাঙ্গা মসজীদ রাস্তার প্রস্থ হওয়ার কথা ৩.০০ মিটার সেখানে পেয়েছেন ৩.০০ মিটার এবং পুরুত্ব ১৭৫ মিলিমিটার এর স্থলে পেয়েছেন ১৯০ মিলিমিটার। এছাড়া ইট খোয়া বালুর মান সিডিউল মোতাবেক পাওয়া যায়। এলাকাবাসী জানায় রাস্তার কাজের মান এবারে ভালো হয়েছে। আমরা এর আগে তো দুদককে রাস্তার কাজ মনিটরিং করতে দেখিনি। আমরা চাই নওগাঁর মত সারাবাংলাদেশ দুদক নিয়মিত মনিটরিং করুক তাহলে রাস্তা মান নিয়ে জনগনকে আর ভাবতে হবে না। নওগাঁ দুদকের উপ- সহকারী পরিচালক মেহেবুবা খাতুন রিতা পরিদর্শন শেষে বলেন আমরা পরিদর্শনে নমুনা সংগ্রহ করেছি পরবর্তীতে প্রতিবেদন আকারে কর্তৃপক্ষ বরাবর যথাসময়ে প্রেরন করা হবে। পরিদর্শনকালে আরো উপস্থিত ছিলেন নওগাঁ সদর উপজেলা প্রকৌশলী সুমন মাহমুদসহ জেলা উপজেলা পর্যায়ে বিভিন্ন কর্মকর্তা।