সুমন পল্লব, হাটহাজারী
হাটহাজারীতে ছাগল চুরির অভিযোগে আটক চার কিশোরের মাথা ন্যাড়া করে দেওয়ার ঘটনায় স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে ব্যাপক সমালোচনা উঠেছে। সোমবার বিকালে উপজেলার ধলই ইউনিয়নে এই ঘটনা ঘটে। ঘটনার পর এর ভিডিও একটি স্থানীয় ফেইসবুক পেইজ থেকে লাইভ করা হলে তা দ্রুত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং নিন্দার ঝড় ওঠে। ধলই ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. নুরুল আমিন চার কিশোরকে আটকের পর তাদের চুল কেটে দেওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার দুপুরের দিকে চার কিশোর একটি ছাগল চুরি করে নিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়দের হাতে ধরা পড়ে। পরে তাদের আটক করে কাটিরহাট বাজারে অবস্থিত ধলই ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে নিয়ে আসা হয়। অভিযোগ উঠেছে, সেখানে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল আমিনের নির্দেশে ওই চার কিশোরের মাথার চুল ‘বিশ্রিভাবে’ কেটে দেওয়া হয়। এ বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান নুরুল আমিন বলেন, “স্থানীয়রা চারজন ছাগল চুরকে ধরে ইউপি পরিষদে নিয়ে আসে। আমি তাদের জনরোষ থেকে রক্ষা করে উপস্থিত লোকজনের মতামতের ভিত্তিতে মাথার চুল কেটে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করে ছেড়ে দিয়েছি।” তবে অভিযুক্ত কিশোরদের পুলিশ বা আইনের হাতে সোপর্দ না করে এভাবে চুল কেটে দেওয়া এবং সেই দৃশ্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় তীব্র সমালোচনা করেছেন সচেতন নাগরিকরা। তারা এই ঘটনাকে ‘অমানবিক’, ‘নিষ্ঠুর’ এবং ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন’ কর্মকাণ্ড হিসেবে অভিহিত করে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন।