মাকসুদ আলম চাটখীল(নোয়াখালী) সোনাইমুড়ী
নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলা বিএনপি ও পৌর বিএনপির নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটি বাতিলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন বিএনপির নেতা আলহাজ্ব কাজী মফিজুর রহমান গ্রুপের নেতাকর্মীরা। উপজেলা পরিষদ সংলগ্ন আলহাজ্ব কাজী মফিজুর রহমানের দলীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়। মিছিলটি সেনবাগ বাজার প্রদক্ষিণ করে জেলা পরিষদ মার্কেট পর্যন্ত গিয়ে পুনরায় একই স্থানে সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়। এতে উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে বিপুল সংখ্যক বিএনপি নেতাকর্মী অংশ নেন। এসময় নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিকে বিতর্কিত আখ্যা দিয়ে অবিলম্বে তা বাতিল করে নতুন কমিটি ঘোষণার দাবি জানানো হয়। নেতাকর্মীরা শ্লোগান দেন “অযোগ্য কমিটি মানি না, মানি না, ত্যাগীদের বঞ্চনা চলবে না, চলবে না।” বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ৩নং ডমুরুয়া ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউর রহমান সমীর, ৫নং অর্জুনতলা ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য ও দলিল লিখক মো.হোসেন, ১নং ছাতারপাইয়া ইউনিয়ন বিএনপির নেতা গোলাম হোসেনসহ প্রমুখ। বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, নবগঠিত আহ্বায়ক কমিটিতে ত্যাগী ও পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের বাদ দেওয়া হয়েছে। যারা আওয়ামী লীগের দীর্ঘ ১৭ বছরের শাসনামলে জেল-জুলুম ও নির্যাতন সহ্য করে দলকে টিকিয়ে রেখেছেন, তাদের মূল্যায়ন না করে আন্দোলনে অনুপস্থিত ব্যক্তিদের দিয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে। উল্লেখ্য, গত ৮ সেপ্টেম্বর (সোমবার) নোয়াখালী জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুব আলমগীর ও সদস্য সচিব মো.হারুনুর রশিদ আজাদের স্বাক্ষরিত সেনবাগ উপজেলা বিএনপি ও পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটি অনুমোদন দেওয়া হয়। ওই কমিটি ঘোষণার পর থেকেই নেতাকর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ দেখা দেয়। ত্যাগী নেতাদের উপেক্ষা করে পছন্দের ব্যক্তিদের প্রাধান্য দেওয়ার অভিযোগে পদবঞ্চিত কাজী মফিজুর রহমান গ্রুপের নেতাকর্মীরা এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। চাটখিলে কমিটি নিয়ে একই ধরনের ক্ষোভ প্রকাশ করেন অনেকেই, ৫৩ সদস্যবিশিষ্ট্য কমিটিতে অনেকেই অনেক সময় উপস্থিত ছিলেন না অনেকেই স্বৈরাচার আওয়ামী লীগের দোসর হয়ে কাজ করেছেন তারাও এ কমিটিতে কিভাবে স্থান পেল এ নিয়ে মতানৈক্য দেখা যায় আলোচনা বক্তারা বলেন ১৭ বছর হামলা মামলায় গর্জরিত যারা ছিল এবং ইউনিয়ন কমিটি গুলোর সভাপতি সম্পাদক পদাধিকার বলে সদস্য থাকার কথা ছিল তাদের অনেককেই রাখা হয় নাই এটা অত্যন্ত দুঃখজনক আপত্তিকর পর বিএনপি নেতা আবুল কাশেম মিন্টু বলেন আন্দোলন সংগ্রামে ছিলনা তাদেরকেও উক্ত কমিটিতে স্থান করে দেওয়া হয়, এতে করে প্রতি ওমান হয় যে এখানে আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমেই করা হয় না হয় তারা কমিটিতে আসার কোনো যোগ্যতা গ্রহণ করে না, সোনাইমুড়ীতে একই অবস্থায় বহু অযোগ্য লোক কমেটিতে আসে, উক্ত কমিটিতে লক্ষ্মীপুর বীমা কোম্পানিতে চাকরিজীবী ২০ নং যুগ্ন আহবায়ক নির্বাচিত হয় লুৎফুর রহমান যাকে ১৬ বছর তো দূরের কথা কখনোই বিএনপি’র কোন কার্যক্রমে উপস্থিতি মাত্র দেখা যায় নাই এবং দশটি ইউনিয়নের সভাপতি সম্পাদক সহ অনেক কেই রাখা হয় নাই, যারা পদাধিকার বলে থানা বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে পদ পাওয়ার কথা কেউই পায় নাই এতে কি প্রতিীয়মান হয় যারা তেলাওয়াতী করেছে তারা তাদের সান্নিধ্যে আত্মীয়র পরিচয় বহন করে কমিটিতে স্থান করে নেয়, এ কারণে ইউনিয়ন ইউনিয়নে ক্ষোভের সঞ্চালন হয়, যারা বিগত দিনে হামলা মামলা বাড়ি ভাঙচুর সহ ১৫-১৬টা মামলা খেয়েছে তাদেরকেও মূল্যায়ন করা হয় নাই, অনেকেই মনে করেন উক্ত কমিটিতে লোকগুলা স্থান পাই নাই অযোগ্য অনেক লোককেই টাকার বিনিময়ে স্থান দেওয়া হয়েছে যেটা নেককারজনক ও আপত্তিজনক, অনেকেই ব্যারিস্টার এম মাহবুবউদ্দিন খোকন এর নিকট ফোনে এই আবেদন জানিয়েছেন যে অন্তত ইউনিয়ন কমিটির সাবেক প্রেসিডেন্স সেক্রেটারি তালা দলের জন্য নিবেদিত প্রাণ থাকা সত্ত্বেও তাদেরকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় নাই। তাই সকলেই জেলা কমিটির দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন পরিবর্তন পরিবর্ধন করার জর দাবি জানান।
