রফিকুল ইসলাম, সিরাজগঞ্জ
বর্ষার পর শেষ শরৎ ঋতুও। শুরু হয়েছে হেমন্ত ঋতু। এই অসময়ে দ্রুত বাড়ছে যমুনা নদীর পানি। এতে শঙ্কিত হচ্ছেন চরাঞ্চলের কৃষকরা। পানি আরও বাড়লে শীতকালীন সবজির আবাদ ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। গতকাল বুধবার সকালে সিরাজগঞ্জ হার্ড পয়েন্টে যমুনা নদীর পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১১ দশমিক ৮৫ মিটার। গত ২৪ ঘণ্টায় ২০ সেন্টিমিটার পানি বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ০৫ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১২.৯০ মিটার)। এ পয়েন্টে সোমবার ১৩ ও মঙ্গলবার ১২ সেন্টিমিটার করে পানি বেড়েছে। অপরদিকে জেলার কাজিপুর মেঘাই পয়েন্টে পানির সমতল রেকর্ড করা হয়েছে ১৩ দশমিক ৫০ মিটার। ২৪ ঘণ্টায় ২১ সেন্টিমিটার বেড়ে বিপৎসীমার ১ দশমিক ৩০ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে (বিপৎসীমা ১৪.৮০ মিটার)। এ পয়েন্টে সোমবার ১৩ ও মঙ্গলবার ১৩ সেন্টিমিটার করে পানি বেড়েছে। সদর উপজেলার কাওয়াকোলা ইউনিয়নের আবেদ আলী, আব্দুল খালেক ও বাবুল হোসেনসহ একাধিক কৃষক বলেন, আমরা শীতকালীন সবজির আবাদ শুরু করেছি। সবজির চারা বড় হতে শুরু করেছে। এ অবস্থায় যমুনার পানি বাড়ছে। আমরা শঙ্কায় রয়েছি আরও পানি বাড়লে সবজি ক্ষেত প্লাবিত হয়ে চরম ক্ষতি হবে। সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী মো. নাজমুল হোসাইন বলেন, উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢল ও ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে যমুনার পানি বাড়ছে। আরও দুই/একদিন পানি বাড়তে পারে। তবে বিপৎসীমা অতিক্রমের আশঙ্কা নেই।
