মো. তাসলিম উদ্দিন (ব্রাহ্মণবাড়িয়া) সরাইলব্রাহ্মণবাড়িয়া সরাইল উপজেলায় রমজানের আগেই চড়া হতে শুরু করেছে ফলের বাজার। ইতোমধ্যে বিভিন্ন ফলের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে। দাম আরও বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ক্রেতারা বলছেন, রমজানে বিভিন্ন পণ্যের দাম বৃদ্ধি অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। কিছু বলার নেই, দাম বেড়ে যাওয়ায় পরিমাণে কম কিনতে হবে। ক্রেতাদের অভিযোগ, আসলে সাধারণ মানুষ ব্যবসায়ীদের কাছে জিম্মি। সরাইলের বিভিন্ন বাজারে সরেজমিন মূল্য বৃদ্ধির তথ্য পাওয়া গেছে। সরাইল বাজারে গিয়ে দেখা যায়, আপেল বর্তমানে ৩০০-৩৫০ টাকা কেজি, মাল্টা ২৮০ টাকা, পেয়ারা ৮০-১০০ টাকা, তরমুজ সাইজ ভেদে ৪০০ টাকা করে বিক্রি হচ্ছে। ব্যবসায়ী লিটন বলেন, প্রতিটি ফলের দাম বাড়তির দিকে। আপেল ও মালটার দাম আরও বাড়বে। তিনি বলেন, একশ্রেণির আড়তদার মাল স্টক করে ফেলছে, ফলে পর্যাপ্ত পাওয়া যাচ্ছে না। এ কারণে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। দাম বেশি দিয়ে কিনে সীমিত লাভ করে আমরা ছেড়ে দিচ্ছি। লিটন জানান, সব ধরনের ফলের দাম কেজিতে ২০ থেকে ৫০ টাকা করে বেড়েছে। ফল ব্যবসায়ী সাব্বির মিয়া বলেন, তার দোকানে হরেক রকমের আপেল রয়েছে। সর্বনিম্ন ৩০০ টাকা থেকে ৩৫০ টাকা পর্যন্ত কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। তিনি বলেন, বাজার এখন চড়া হয়ে গেছে। কদিন আগেও এই একই আপেলের দাম কম ছিল। অথচ এখন প্রতিকেজি ৫০ টাকা বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে। তিনি বলেন, পেয়ারা আগে ৭০ থেকে ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হতো। এখন ১২০ টাকা প্রতি কেজি। পেঁপে প্রায় ২০০ টাকা কেজি। আর তরমুজ ৮০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে। রুবেল মিয়া জানান, কাল থেকে আবারও দাম বাড়বে। এই দাম বাড়ার প্রবণতা পুরো রমজান জুড়েই থাকবে। তার অভিযোগ, মালামাল স্টক হয়ে গেছে। সংকট দেখিয়ে আমাদের কাছ থেকে দাম বাড়িয়ে নেওয়া হচ্ছে। আমাদের মতো সাধারণ বিক্রেতাদের করার কিছুই নেই। এদিকে ফল কিনতে আসা ক্রেতা জাকির বলেন, দাম বাড়ার ভয়ে আগেই তিনি কিনতে এসেছেন। কিন্তু এসে দেখেন গত সপ্তাহ থেকে ফলের দাম কেজিতে ৫০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। তার অভিযোগ, ব্যবসায়ীদের কাছে আমরা আগেও জিম্মি ছিলাম, এখনও জিম্মি। যারা বিভিন্ন সুযোগ খুঁজে দাম বাড়িয়ে দেয়, এদের দমাতে পারলো না। আরেক ক্রেতা ফরিদ বলেন, আমরা কোথায় যাবো। কার কাছে বলবো। সব সহ্য করেই চলেছি। তিনি বলেন, আমরা এ বিষয়গুলো বারবার বললেও কেউ কানে নেয় না। বাজারে আসা লোকজন বলছেন, এখনই কঠোর মনিটরিং না করলে যে পরিস্থিতি দেখছি, তাতে রমজানে সাধারণ মানুষের নাভিশ্বাস উঠবে। সরাইল উপজেলা নির্বাহী অফিসার(ইউএনও) এ প্রতিনিধিকে বলেন, রমজানকে সামনে রেখে যারা মালামাল স্টক করে, সংকট দেখিয়ে দাম বাড়িয়েছে। এসব ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করা হবে।
Related News
মামলার বিবাদীরা জামিনে এসে বাদী ও তার পরিবারকে হত্যা’সহ নানা হুমকি দিচ্ছে
- Nabochatona Desk
- July 3, 2025
- 0
হামিদুল্লাহ সরকার, নীলফামারী নীলফামারীর জলঢাকায় মামলার বাদী ও তার পরিবারের লোকজনকে হত্যা সহ নানা ধরনের হুমকি দিচ্ছে বিবাদীরা। অভিযোগ পেয়ে নীলফামারী জেলার জলঢাকা উপজেলার ধর্মপাল […]
বাগেরহাটে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহতদের স্বজনকে ২০ লক্ষ টাকার চেক প্রদান
- Nabochatona Desk
- September 22, 2025
- 0
আল আমিন খান সুমন, বাগেরহাট বাগেরহাটে সড়ক দূর্ঘটনায় নিহত চারটি পরিবারের মাঝে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ) ট্রাস্টি বোর্ডের পক্ষ থেকে ২০ লক্ষ টাকার চেক […]
গাজীপুরের কাশিমপুরে অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণ অভিযান
- Nabochatona Desk
- November 26, 2025
- 0
ইউসুফ আহমেদ তুষার,কাশিমপুর কোনাবাড়ী প্রতিনিধি গাজীপুরের কাশিমপুর এলাকায় অবৈধ গ্যাস সংযোগ বিচ্ছিন্নকরণে যৌথ অভিযান পরিচালনা করেছে তিতাসের চন্দ্রা গ্যাস ট্রান্সমিসন এন্ড ডিস্ট্রিবিউশন অফিসের একটি ভ্রাম্যমাণ […]
