ePaper

শ্বশুরবাড়িতে ছোট প্যান্ট পরা যেত না : এষা

বিনোদন ডেস্ক

২০২৩ সালে বিচ্ছেদের ঘোষণা দিয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী এষা দেওল ও তার প্রাক্তন স্বামী ভারত। এষার সঙ্গে সম্পর্ক চুকিয়ে সম্প্রতি মেঘনা লাখানির সঙ্গে নতুন সম্পর্কের কথা ঘোষণা করেছেন অভিনেত্রীর প্রাক্তন স্বামী। মেঘনা পেশায় উদ্যেক্তা। ২০১৯ সালে তৈরি হওয়া আরবের একটি সংস্থার মালিক তিনি। উচ্চমানের টেকসই এবং পরিবেশবান্ধব পণ্য উৎপাদন করে এই সংস্থা। একসময় বলিউডের অন্যতম চর্চিত দম্পতি ছিলেন এষা  দেওল আর ভারত তখতানী। ২০১২ সালে বিয়ে, হেমা মালিনী আর ধর্মেন্দ্রর কন্যার বিয়ে ছিল যেন রূপকথার রাজকীয় আয়োজন। তবে সেই সম্পর্ক টিকেছে মাত্র ১১ বছর। ২০২৪ সালে দু’জনেই যৌথ বিবৃতিতে জানালেন, তাদের বিবাহিত জীবনের ইতি টানা হচ্ছে— “পারস্পরিক ও শান্তিপূর্ণ সিদ্ধান্তে আমরা আলাদা হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”এষা তার বই ‘আম্মা মিয়া’-তে খোলাখুলি লিখেছিলেন বিয়ের পর জীবনে আসা বদলের কথা। তখতানী পরিবারে পা দিয়েই পেয়েছিলেন বিপুল সাংস্কৃতিক ধাক্কা। আগে যেমন শর্টস, ছোট প্যান্ট আর গেঞ্জি পরে বাড়ির মধ্যে ঘুরতেন, বিয়ের পর শ্বশুরবাড়িতে তা আর সম্ভব হয়নি। কড়াকড়ি নিষেধ ছিল ছোট পোশাকের বিষয়ে।তবে শ্বশুরবাড়ির মানুষজনের স্নেহ আর আদরেই সে শূন্যতা পূরণ হয়ে গিয়েছিল। বিশেষ করে শাশুড়ির প্রশংসা করে এষা লিখেছিলেন, “কখনও আমাকে রান্নাঘরে যেতে বলেননি, বা সেইসব প্রথাগত কাজ করতে চাপ দেননি যেগুলো তাকেই এক সময় করতে হয়েছিল।”দুই মেয়েকে কেন্দ্র করে নতুন জীবন শুরু এষার। এই দম্পতির দুই কন্যা—রাধ্যা ও মিরায়া। বিচ্ছেদের পরও সন্তানদের কল্যাণকেই জীবনের মূল কেন্দ্র করে রেখেছেন এষা ও ভরত। তাদের বিবৃতিতেও স্পষ্ট করে বলা হয়েছিল, দুই মেয়ের ভালো থাকাটাই তাদের প্রধান লক্ষ্য। বিচ্ছেদের পর এষা একান্তে থেকে কাজ ও মেয়েদের প্রতি মন দিয়েছেন। অন্যদিকে, কিছুদিন আগেই ইউরোপে একসঙ্গে ঘুরতে দেখা গিয়েছিল ভারত ও মেঘনাকে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ছবিতে দেখা গিয়েছিল, ভারতের বাহুডোরে ধরা দিয়েছেন মেঘনা। সেই ছবিই শেয়ার করে মেঘনা লিখেছিলেন, “এখান থেকেই সফর শুরু।” অর্থ পরিষ্কার –  জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করতে প্রস্তুত ভারত।

রাজকীয় বিয়ে, ভালোবাসার বছরগুলো আর অবশেষে শান্তিপূর্ণ বিচ্ছেদ—এষা-ভারতের সম্পর্কের গল্প যেন এক বলিউডি চিত্রনাট্যের মতোই রঙিন, আবার খানিকটা বিষাদময়ও।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *