ইয়াকুব নবী ইমন, নোয়াখালী
নোয়াখালী চৌমুহনীর সন্তান উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে সপ্তম শ্রেণী বাংলা ভার্সনে অধ্যায়নরত শিক্ষার্থী কামরুল হাসান মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এলো মা-বাবার কোলে। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে চৌমুহনীর গোলাবাড়িয়া কামরুল হাসানের বাসায় গিয়ে দেখা যায় আত্মীয় স্বজনের ভীড়। জানা গেছে, উত্তরা মাইলস্টোন কলেজে ভয়াবহ বিমান ক্রাশের সময় চৌমুহনী সরকারি এসএ কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক এজিএস ও নোয়াখালী জেলা কৃষক দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক মো. হানিফের ছেলে কামরুল হাসান স্কুলেই ছিলো। ছেলেকে ফিরে পেয়ে আল্লাহর দরবারে শুকরিয়া আদায় করেন হানিফ। এ সময় তিনি আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়েন। এজিএস হানিফ বলেন, যখন বিমান দুর্ঘটনার কথা আমি যখন মোবাইলে জানতে পারি তখন দুশ্চিন্তায় পড়ে যাই। বার বার যোগাযোগ কেেরা ছেলেকে পাচ্ছিলাম না। অনেক পরে পর্যায়ে তার সাথে যোগাযোগ হয়। তখন নিশ্চিন্ত হই যে ছেলে স্কুলে আছে এবং বেঁচে আছে। হানিফ বলেন, এরপর আমি আমার বন্ধু ইঞ্জিনিয়ার মিজানুর রহমানকে বললে সে স্কুলে গিযে এক কাপড়ে নোয়াখালী পাঠানোর ব্যবস্থা করে। স্কুল ছাত্র কামরুল হাসান জানায়, ঘটনার সময় আমরা স্কুলে ছিলাম। ক্লাস প্রায় শেষ পর্যায়ে, হঠাৎ বিমানটি বিকট শব্দে বিস্ফোরিত হয়। আমাদের সামনেই অনেকে মারা গেছে। আমরা অল্পের জন্য প্রানে বেঁচে যাই। পরে আমাদেরকে উদ্ধার করে একটি রুমে নিয়ে যাওয়া হয়। বিকালের দিকে আঙ্কেল আমাকে স্কুল থেকে এনে নোয়াখালী পাঠিয়ে দেন। উল্লেখ্য, গতকালের বিমান ক্রাশের ঘটনায় উত্তরা মাইলস্টোন স্কুল এন্ড কলেজে বিমানের পাইলট সহ ২০ জন শিক্ষার্থী নিহত হয় এবং আহত হয় ১৭২ জন।
