ePaper

মিলছে না জটিল রোগের চিকিৎসা, অপরিচ্ছন্ন পরিবেশ ঠাকুরগাঁও জেনারেল হাসপাতালের।

মো. মজিবর রহমান শেখ ঠাকুরগাঁও জেলা প্রতিনিধি,,

২৫০ শয্যার ঠাকুরগাঁও আধুনিক সদর হাসপাতাল। জেলাবাসীর স্বাস্থ্যসেবার প্রধান ভরসাস্থল এ হাসপাতালে নেই নিউরোলজি বিভাগ, আইসিইউ সহ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ইউনিট। ফলে জটিল সমস্যা নিয়ে এখানে কেউ এলে পাঠিয়ে দেওয়া হয়, দিনাজপুর কিংবা রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। যেটুকু সেবা মিলছে তা-ও দেওয়া হচ্ছে অপরিচ্ছিন্ন পরিবেশে। হাসপাতালে বিভিন্ন ওয়ার্ডে বিক্রি হয় খোলা খাবার। নিজ জেলায় চাহিদামতো সেবা না পেয়ে ভোগান্তিতে পড়তে হয় রোগী ও স্বজনদের। ভুক্তভোগীদের দাবি, দ্রুত সময়ে ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালে সব ধরনের সেবা নিশ্চিত করার। কর্তৃপক্ষ বলছে, সাধারণের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে কাজ হচ্ছে। দ্রুত চালু হবে আইসিইউ। ১৯৮৭ সালে ৫০ শয্যা নিয়ে যাত্রা ঠাকুরগাঁও সদর হাসপাতালের। ১৯৯৭ সালে ১০০ শয্যায় উন্নীত করা হয়। সেবার মান বৃদ্ধির লক্ষ্যে ২০১৮ সালে সাত তলা ভবন উদ্বোধনের মাধ্যমে উন্নীত হয় ২৫০ শয্যায়। বিভিন্ন সময় হাসপাতালের শয্যা বাড়লেও সেবার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েই গেছে। হাসপাতালের মেঝে ও সিঁড়িতে জমেছে ধুলার স্তর। ব্যবহৃত টিস্যু, মাস্ক, কাগজের টুকরা ও ফলের খোসার ছড়াছড়ি ওয়ার্ডজুড়ে। শৌচাগারগুলো থেকে আসা উৎকট গন্ধে ওয়ার্ডে থাকা দায়। চিকিৎসাসেবা নিয়েও অভিযোগ তুলেছেন অনেক রোগী। হাসপাতালের বিভিন্ন ওয়ার্ডে প্রকাশ্যে খোলা খাবার বিক্রি করেন ফেরিওয়ালারা। স্থানীয়রা জানান, ঠাকুরগাঁও জেলার ৫ উপজেলার বাসিন্দাদের চিকিৎসার একমাত্র ভরসা সদর হাসপাতাল। এখানে কিছুর তোয়াক্কা না করে ভিতরে বিক্রি হচ্ছে খোলা খাবার। দেখার যেন নেই কেউ। ভর্তি রোগী ও তাদের স্বজনরা জানান, এসব খোলা খাবার স্বাস্থ্যের জন্য হতে পারে হুমকি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেসঙ্গে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আবদুল্লাহ আল সুমন বলেন, গুরুতর অসুস্থ কাউকে নিয়ে এলে দ্রুত সময়ে তাকে অন্যত্র রেফার্ড করা হয়। এখানে নাই আইসিইউ। পরিবেশও খুব নোংড়া। জয়নুল নামে আরেকজন রোগীর স্বজন বলেন, হাসপাতালের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা নিয়ে আর কী বলব। বাথরুমগুলো প্রায় ব্যবহারের অনুপযোগী। সদর হাসপাতালের আরএমও বলেন, জনবল সংকটের কারণেই সমস্যা তৈরি হয়েছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে। চাহিদামতো জনবল নিয়োগ হলে সব সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *