ePaper

মাদারীপুরে দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দুদকের অভিযান

আরিফুর রহমান, মাদারীপুর

মাদারীপুরের ডাসারে শিক্ষক নিয়োগে অনিয়ম ও অধ্যক্ষের বিরুদ্ধে নানান অভিযোগের ভিত্তিতে দুইটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালিয়েছেন দুর্নীতি দমন কমিশন দুদক। গতকাল বৃহস্পতিবার দিনব্যাপি এই অভিযান পরিচালনা করা হয়। ডাসার সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয় (শেখ হাসিনা একাডেমি এন্ড উইমেন্স কলেজ) ও শশীকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে এ অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা দুদক কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান ও উপ-সহকারী পরিচালক মো. সাইদুর রহমান অপুসহ চারজন সদস্য। অনুসন্ধানে জানা গেছে, ২০১৩ সালের ১৮ নভেম্বর “শেখ হাসিনা একাডেমি এন্ড উইমেন্স কলেজ জাতীয়করন করার লক্ষ্যে একটি পরিপত্র জারি করেন, শিক্ষা মন্ত্রণালয়। উক্ত পরিপত্রে উল্লেখ থাকে কলেজটির নিয়োগ, পদোন্নতি, স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর ইত্যাদির উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয় এবং স্থাবর অস্থাবর সম্পত্তি সরকার এর নিকট হস্তান্তর করার নির্দেশ প্রদান করা হয়। পরিপত্র অনুযায়ী এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে কোন শিক্ষক কর্মচারী নিয়োগ দেয়ার নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তা উপেক্ষা করে তৎকালীন অধ্যক্ষ, ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি অদৃশ্য শক্তির বলে সৈয়দ অলিউর রহমান, সুদীপ বসু, রেবেকা পারভান এ্যানী, নুরুন নাহার, হুমায়ুন কবির ও মো. মামুনসহ ছয়জনকে শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ প্রদান করেন। এছাড়াও শশীকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ের এক প্রভাষক থাকেন ভারতে বেতন তুলেন বাংলাদেশ এবং কলেজের অধ্যক্ষ নানা অনিয়মের সাথে জড়িত। এই দুটি বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সাংবাদিকরা বিভিন্ন মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করেন। বিষয়টি দুদকের নজরে আসলে দুদক ওই দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেন। সহকারী পরিচালক আখতারুজ্জামান বলেন, আমাদের কর্তৃপক্ষের নির্দেশনায় চার সদস্য বিশিষ্ট একটি টিম দুটি কলেজে অভিযান পরিচালনা করেছি। একটি হলো ডাসার সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয় পূর্বের নাম ছিল সরকারি শেখ হাসিনা উইমেন্স কলেজ এবং আরেকটি হচ্ছে শশীকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়। সরকারি মহিলা মহাবিদ্যালয়ে ছয়জন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগে অনিয়ম হয়েছে এবং শিক্ষা অধিদপ্তরের নিষেধাজ্ঞা থাকা সত্ত্বেও ওই শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ ও ম্যানেজিং কমিটি। এ বিষয়ে আমরা ওই শিক্ষা প্রতষ্ঠানে অভিযান পরিচালনা করেছি। প্রাথমিক তথ্য ও রেকর্ড পত্র তাদের কাছে চেয়েছি ওনারা কোন কাগজপত্র আমাদেরকে দেখাতে পারেনি এবং আগামী রোববার পর্যন্ত তারা সময় নিয়েছে। অপরদিকে শশিকর শহীদ স্মৃতি মহাবিদ্যালয়ে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতির তথ্য আমরা হাতে পেয়েছি এগুলোর রেকর্ড পত্র আমরা সংগ্রহ করেছি এবং অধ্যক্ষ উনার স্ত্রী ভারতে থাকেন বাংলাদেশ থেকে বেতন নিচ্ছেন ঘটনা সত্য কিন্তু কোন প্রক্রিয়ায় নিচ্ছে সেটা পর্যালোচনা করছি সেটা আইন এবং বিধি বহির্ভূত হলে অবশ্যই দুর্নীতি দমন কমিশন আইন ও বিধি মোতাবেক আমরা কমিশনের কাছে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রেরন করব। শশীকর কলেজের অধ্যক্ষ দূর্লভানন্দ বাড়ৈ বলেন, আমার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে। এ ব্যাপারে ডাসার সরকারি মহাবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ জাকিয়া সুলতানা বলেন, উপর মহলের মৌখিক অনুমতির ভিত্তিতে তখন শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *