ePaper

মতলবে ১৮০টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ১১৬টিতে নেই প্রধান শিক্ষক

চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ১৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ১১৬টিতে প্রধান শিক্ষকের পদ শূন্য রয়েছে। এর ফলে উপজেলাটির প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে। দীর্ঘদিন ধরে ৩টি সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের পদ শূন্য থাকায় তদারকি কার্যক্রমও কার্যকরভাবে পরিচালনা করা যাচ্ছে না বলে অভিযোগ উঠেছে। সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোতে দীর্ঘদিন ধরে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ বন্ধ রয়েছে। ফলে অবসর, মৃত্যু বা অন্যান্য কারণে পদগুলো শূন্য হলেও তা পূরণ করা হয়নি। উপজেলার বিভিন্ন বিদ্যালয়ের শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকরা দাপ্তরিক কাজ সামলাতে গিয়ে নিয়মিত শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করাতে পারছেন না। এতে করে একজন শিক্ষক কমে যাওয়ার পাশাপাশি প্রশাসনিক দক্ষতারও অভাব দেখা দিচ্ছে। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, চরাঞ্চল-সমৃদ্ধ মতলব উত্তর উপজেলায় ১৪টি ইউনিয়ন ও ১টি পৌরসভা রয়েছে। সেখানে মোট ১৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। গত ১১-১২ বছর ধরে এসব বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক নিয়োগ না হওয়ায় ১১৬টি পদ শূন্য রয়েছে। বর্তমানে জ্যেষ্ঠ সহকারী শিক্ষকদের ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে বিদ্যালয় পরিচালনা করা হচ্ছে। নয়াকান্দি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রাশেদুজ্জামান বলেন, প্রাতিষ্ঠানিক নানা কাজে প্রধান শিক্ষককে ব্যস্ত থাকতে হয়। এতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান করা সম্ভব হয় না। ফলে একজন শিক্ষকও কমে যায় কার্যত। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি আলহাজ্ব সৈয়দ আহমেদ বুলবুল বলেন, পার্শ্ববর্তী মতলব দক্ষিণ উপজেলায় ১১৩টি বিদ্যালয়ের জন্য রয়েছে ১১ জন সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসার। সেখানে মতলব উত্তরে ১৮০টি বিদ্যালয়ের জন্য রয়েছে মাত্র ৫টি পদ, যার মধ্যে ৩টি পদ বহুদিন ধরে শূন্য। এ অবস্থায় শিক্ষা কার্যক্রম তদারকি করা প্রায় অসম্ভব। উপজেলা প্রাথমিক প্রধান শিক্ষক সমিতির সভাপতি দেওয়ান আখম বাহাউদ্দিন জানান, প্রধান শিক্ষক স্বল্পতার কারণে উপজেলার প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রম দীর্ঘদিন ধরে বিঘ্নিত হচ্ছে। সহকারী উপজেলা শিক্ষা অফিসারের ৮টি পদ সৃষ্টি হওয়ার কথা থাকলেও এখন মাত্র ৫টি পদ রয়েছে, তার মধ্যে ৩টি শূন্য। এ বিষয়ে মতলব উত্তর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, সহকারী শিক্ষকদের মধ্য থেকে ৬৫ শতাংশ প্রধান শিক্ষক নিয়োগের সুযোগ রয়েছে। তবে তাদের দাবি শতভাগ নিয়োগ। এ সংক্রান্ত মামলাজটের কারণে প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ কার্যক্রম থেমে আছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *