ePaper

ভেন্টিলেটর ভেঙে ঘরে ঢুকে বৃদ্ধাকে খুন নগদ টাকা লুট

চাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরের কচুয়ায় এক বৃদ্ধাকে হত্যা করে নগদ টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। গত বুধবার রাতে উপজেলার চাপাতলী প্রধানিয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার সময় নিহত মমতাজ বেগমের ব্যবসায়ী ছেলে বাড়ির অদূরে ইটভাটায় ছিলেন। পরিবারের অন্যরা বাড়িতে না থাকায় বাড়িতে একাই ছিলেন বৃদ্ধা। সংবাদ পেয়ে মধ্যরাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফুর রহমান এবং সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশের কর্মকর্তারা। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব জানান, নিহত মমতাজ বেগমের (৬৫) স্বজনরা তাকে জানিয়েছেন- বাড়ির দালানের বাথরুমের ভেন্টিলেটর ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে দুর্বৃত্তরা।  সময় শ্বাসরোধে হত্যা করা হয় বৃদ্ধাকে। পরে স্টিলের আলমারি ভেঙে নগদ সাড়ে ৪ লাখ টাকা ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে যায় তারা। তবে স্বর্ণালংকার থাকলেও সেগুলো নেয়নি তারা। পরিবারের সদস্যদের দাবি- দালানের ভেতরে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। তবে রাতে বৃদ্ধার মরদেহ পাওয়া গেছে দালানের বাইরে ঝোপের মধ্যে। তাই পুলিশের ধারণা, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। নিহতের ছেলে সোহেল প্রধানিয়া জানান, ‘রাত সাড়ে ১১টায় তাদের ইটভাটা থেকে বাড়ি ফেরেন তিনি। পরে বাড়ি গিয়ে দেখেন মায়ের এমন পরিণতি। তার দাবি, ডাকাতির উদ্দেশ্য নয়, এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। কারণ, দুর্বৃত্তরা স্টিলের আলমারি ভেঙে নগদ সাড়ে চার লাখ টাকা এবং প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গেছে। অথচ সেখানে স্বর্ণালঙ্কারও ছিল। তা নেয়নি। তবে কারা এমন ঘটনায় জড়িত তা নিশ্চিত করে জানাতে পারেননি তিনি। এর আগে, সোহেল প্রধানিয়ার স্ত্রী ও সন্তানরা কুমিল্লায় বেড়াতে যান। তা ছাড়া মমতাজ বেগম তার এক মেয়ের সঙ্গে রাত সাড়ে ৯টায় ফোনে কথা বলেন। ধারণা করা হচ্ছে, এরপরই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। ঘটনার পারিপার্শ্বিকতা দেখে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিবও বলছেন, নিছক ডাকাতি নয়, পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড। এরই মধ্যে পুলিশ তদন্তকাজ শুরু করেছে। অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার দুপুর পর্যন্ত এই নিয়ে কচুয়া থানায় কোনো মামলা হয়নি। পুলিশ বলছে, মামলার প্রস্তুতি চলছে। চাঁদপুরে কচুয়ার রহিমানগর এলাকার প্রতিষ্ঠিত ইটভাটা ব্যবসায়ী বাচ্চু মিয়া প্রধানিয়া বিগত করোনাকালিন তার বড় ছেলেসহ মারা যান। তার পর থেকে তার আরেক ছেলে সোহেল প্রধানিয়া বাবার পারিবারিক ব্যবসা দেখাশোনা করছেন। পুলিশ নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠিয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *