মো. আব্দুল আজিজ, গাজীপুর
গাজীপুর জেলা বিএনপির সদস্য আনোয়ার হোসেন বেপারীর বিরুদ্ধে দলের গঠনতন্ত্রের ১৫ তম ধারা লঙ্ঘন করে একই সাথে তিন পদে থাকার অভিযোগ উঠেছে। অনুসন্ধানে জানা যায়, নতুন নেতৃত্বকে জায়গা করে দিতে গত ১৯ মার্চ ২০১৬ সালে দলের ষষ্ঠ জাতীয় কাউন্সিলে ‘এক নেতা এক পদ’ এই শিরোনামে ১৫তম ধারায় বিশেষ বিধান যুক্ত করা হয়। গঠনতন্ত্রের এই ধারার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিগত দিনে অনক নেতা একাধিক পদ ছেড়ে দিয়ে দলের প্রতি আনুগত্য দেখালেও ব্যতিক্রম দেখা গেছে গাজীপুরের এই নেতার ক্ষেত্রে, বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকে গঠনতন্ত্রের এই ধারা কার্যকর করার নীতিগত সিদ্ধান্ত হলেও দীর্ঘ নয় বছরেও তা কার্যকর হয়নি। তিন পদধারী এই নেতা গত ৭ সেপ্টেম্বর ২৩ সালে গাজীপুর জেলা যুবদলের আহবায়ক কমিটির যুগ্ন আহবায়ক হন, পরবর্তীতে ৩ আগস্ট ২৪ সালে একই কমিটির সদস্য সচিব রফিকুল ইসলামকে অব্যাহতি দিয়ে আনোয়ার হোসেন বেপারীকে ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়। উক্ত পদে থাকা অবস্থায় তাকে গত ২৪ মার্চ গাজীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য করা হয়, এর কিছুদিন পর গত ২৪ জুন শ্রীপুর পৌর বিএনপির আহবায়ক কমিটিতে তাকে ১ম যুগ্ন আহবায়কের পদ দেয়া হয়। বর্তমানে তিনি একই সাথে তিনটি পদে দায়িত্ব পালন করছেন তার মধ্যে দুটি অতি গুরুত্বপুর্ন পদে তার স্বাক্ষর ক্ষমতা রয়েছে, দলের ইতিহাসে এই ঘটনা বিরল। তিন পদধারী এই নেতার বিগত দিনের মাঠের আন্দোলনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন রয়েছে। অন্যদিকে গাজীপুর জেলা ও শ্রীপুর উপজেলায় বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের সময়ে আন্দোলন সংগ্রামে সক্রিয় অনেক নেতা যোগ্যতা থাকার পরও পদবঞ্চিত হয়ে আছেন। অদৃশ্য কারনে মূল দল ও সহযোগী সংগঠনের পদ বন্টনে এমন বৈষম্য দলটিতে নতুন নেতৃত্বের ক্ষেত্র বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে মনে করেন দলের বিভিন্ন স্তরের নেতাকর্মীরা। এ নিয়ে দলের পদবঞ্চিত অনেক নেতা-কর্মী ক্ষোভ ও হতাশায় ভুগছেন। এ বিষয়ে কেন্দ্রীয় যুব দলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়নকে একাধিকবার ফোন করেও পাওয়া যায়নি এবং খুদেবার্তায় তার মন্তব্য জানতে চাইলেও কোন সাড়া দেননি। গাজীপুর জেলা বিএনপির আহবায়ক একেএম ফজলুল হক মিলন বলেন, একই ব্যক্তি তিন পদে থাকা ঠিক না কিন্তু শুধু আনোয়ার বেপারী না বাংলাদেশের বহু জায়গায় এক ব্যক্তি তিন পদে আছে এটা দলের গঠনতন্ত্রের ১৫ তম ধারার ব্যতিক্রম, যখন যুবদলের নতুন কমিটি হবে তখন হয়তো যুবদল কেন্দ্রীয় কমিটি এটা পরিবর্তন করে দেবেন। একই সাথে তিন পদধারী নেতা আনোয়ার হোসেন বেপারী বলেন, বিএনপি’র গঠনতন্ত্রের ১৫ তম ধারা যুবদলের জন্য প্রযোজ্য নয়, আমার পদ নিয়ে কেন্দ্রীয় যুবদলের সভাপতি ও সেক্রেটারি কে প্রশ্ন করেন, তারা আমার কার্যক্রমে খুশি হয়ে পদ দিয়েছেন দলের সিদ্ধান্তের প্রতি আমি শ্রদ্ধাশীল।
