ePaper

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরে নলিনীকান্ত ভট্টশালী: বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্বের প্রবাদ পুরুষ ও সফল জাদুঘরবিদ শীর্ষক সেমিনার

পি. কে. বিশ্বাস

বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর গতকাল বুধবার জাদুঘরের কবি সুফিয়া কামাল মিলনায়তনে ‘নলিনীকান্ত ভট্টশালী: বাংলাদেশের প্রত্নতত্ত্বের প্রবাদ পুরুষ ও সফল জাদুঘরবিদ’ শীর্ষক সেমিনার ও আলোচনা সভার আয়োজন করে। সেমিনার ও আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের সাবেক কীপার ড. স্বপন কুমার বিশ্বাস। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মালিহা নার্গিস আহমেদ। সভাপতিত্ব করেনসংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ও বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) জনাব নাফরিজা শ্যামা। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন বাংলাদশে জাতীয় জাদুঘরের জনশিক্ষা বিভাগের কীপার জনাব আসমা ফেরদৌসি। আলোচনায় নলিনীকান্ত ভট্টশালীর জীবনের নানা দিক তুলে ধরা হয়। নলিনীকান্ত ভট্টশালী ছিলেন বাঙালি প্রত্নতত্ত্ববিদ, গবেষক এবং পণ্ডিত ব্যক্তি। একজন ব্যতিক্রমী মানুষ তিনি। ১৮৮৮ সালের ২৪ জানুয়ারি মুন্সীগঞ্জ জেলার নয়নানন্দ নামক স্থানে তাঁর জন্ম। ১৯১২ সালে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। তিনি ১৯১৪ সালে তৎকালীন ঢাকা জাদুঘরের প্রথম কিউরেটর হিসেবে যোগদান করেন। ঢাকা জাদুঘর ১৯৮৩ সালে বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর হিসেবে আত্মপ্রকাশ করে। ঢাকা জাদুঘর ছিল তাঁর সমস্ত কাজের কেন্দ্রবিন্দু। মাত্র দুজন কর্মচারী নিয়ে তিনি জাদুঘর চালাতেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত প্রায় ৩৩ বছর তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন। নবীন প্রত্নতাত্ত্বিক গবেষকদের কাছে নলিনীকান্ত ভট্টশালী অনুপ্রেরণার এক অমূল্য উৎস। তাঁর অনুপ্রেরণায় তরুণ প্রজন্মের গবেষকরা যদি নতুন নতুন প্রত্নবস্তুর আবিষ্কার ও গবেষণা করতে পারে তাহলে বাংলাদেশের ইতিহাস-ঐতিহ্য আরও সমৃদ্ধ হবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *