মাকসুদ আলম (নোয়াখালী) সোনাইমুড়ী
সোনাইমুড়ি উপজেলার ০৭নং বজরা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, ভূমি কর্মকর্তা জহিরুল ইসলাম ও তার ছেলে তাসনিম বিভিন্ন সেবা দিতে গিয়ে গ্রাহকদের কাছ থেকে নিয়মিতভাবে বেশি অর্থ আদায় করছেন। ভূমি সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় কাগজপত্র, নামজারি, ওয়ারিশ সনদ বা জমির সেসব সেবা গ্রহণ করতে এলেই সেবাপ্রার্থীদের অতিরিক্ত টাকা দিয়েই নিতে হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন অনেকেই, ০৬নং নাটেশ্বর ইউনিয়নের ২৪২ নং মৌজার আফিয়া বেগম জানান, ১০৩ ডি: জমিনের খাজনা পরিমাণ ১৫০০০,টাকা নিয়ে ১০৯১২ রশিদ দেয় বলে অভিযোগ রয়েছ ভুক্তভোগী। ফাইল “তাড়াতাড়ি” নিষ্পত্তির কথা বলে ভূমি কর্মকর্তার ছেলে তাসনিম নিজের মতো করে টাকার হিসাব নির্ধারণ করে বসেন।অতিরিক্ত খাজনা আদায় করে রশিদ না দিয়ে পাসওয়ার্ড লিখে দেন। এও বলে দেন আগামী বছর খাজনা দিতে আসলে এই পাসওয়ার্ডটি বলবেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী বলেন, “অল্পদিন আগে নামজারির জন্য আবেদন করতে গিয়েছিলাম। অফিসের ভেতরে একজন লোক (তাসনিম) এসে বললো, ‘দ্রুত কাজ শেষ করতে হলে তিন হাজার টাকা দিতে হবে’। টাকা না দিলে নাকি ফাইল আটকে রাখা হবে।” স্থানীয়রা বলছেন, এই ঘুষ বাণিজ্য দীর্ঘদিন ধরে চললেও কেউ মুখ খুলতে সাহস পান না। কেউ অভিযোগ দিলেও সেটি গুরুত্ব পায় না বলে অভিযোগ করেন তারা। এ বিষয়ে ভূমি কর্মকর্তা জহিরুল ইসলামের সঙ্গে কথা বলতে চাইলে তিনি ঘুষ বাণিজ্যের অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “স্ক্যানিং ও ডাটা এন্ট্রি কাজে কিছু ফি লাগে, কেউ যেন ভুল তথ্য না ছড়ায়।” তবে তিনি তার ছেলে তাসনিম ভূমি অফিসে থাকার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করতে রাজি না হলেও তিনি রীতিমতো অফিস করছেন, এ বিষয়ে উপজেলা ভূমি অফিসের কর্মকর্তা দ্বীন আলজান্নাত বলেন আমাকে এ বিষয়ে কেউ অবগত করায় নি, এদিকে এলাকাবাসী অবিলম্বে বিষয়টির তদন্ত দাবি করে দুর্নীতি দমন কমিশনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
