ePaper

পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তিতে কেশবপুর সোনালী ব্যাংকের গ্রাহকরা

রাজীব চৌধুরী, কেশবপুর

পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে কেশবপুর  সোনালী ব্যাংকের গ্রাহকদের। সেবা নিতে এসে সাইকেল-মোটর সাইকেল রাখতে বিড়ম্বনার শিকার হওয়ায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন গ্রাহকরা। রাষ্ট্রীয় মালীকানাধীন এ ব্যাংকের সেবার মান অক্ষুন্ন রেখে গ্রাহক অনুসারে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা করার দাবি জানিয়েছেন সেবা প্রত্যাশীরা। তবে স্থান সংকুলান না হওয়ায় পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা করা সম্ভব হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন ব্যাংক কর্তৃপক্ষ। জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে কেশবপুর শহরের ত্রিমোহিনী মোড়ের একটি মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় সোনালী ব্যাংকের শাখা স্থাপন করে সেবা দিয়ে যাচ্ছেন ব্যাংক কর্মকর্তারা। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড সরকারি-বেসরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন ও অবসরভাতা প্রদান, সরকারী ও বেসরকারী স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা ইত্যাদি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রদান, ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি প্রদান, সামাজিক নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন ভাতা প্রদান, সরকারি সঞ্চয়পত্র ক্রয়-বিক্রয়, সরকারি খাদ্যশস্য ক্রয় বিল পরিশোধ, বিভিন্ন সেবামূলক প্রতিষ্ঠানের বিল গ্রহণ, সরকারি রাজস্ব আদায় কার্যক্রম, হজ্জ্ব ও জাকাত ফান্ডের অর্থ গ্রহণসহ সামাজিক কর্মকান্ডের মাধ্যমে আপামর জনগোষ্ঠীকে সেবা প্রদান করে আসছে। এসব সেবা নিতে প্রতিদিন হাজারো মানুষ কেশবপুর সোনালী ব্যাংকে আসেন। পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় তাদেরকে বিড়ম্বনার শিকার হতে হয়। গত ১ বছরে প্রায় ১৫ গ্রাহকের সাইকেল-মোটর সাইকেল চুরি হয়েছে। একাধিক গ্রাহকরা সোনালী ব্যাংকের কেশবপুর শাখায় পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্তা চালুর দাবি জানান। সোনালী ব্যাংক কেশবপুর শাখার গ্রাহক ইমরান হোসেন ক্বারী বলেন, প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে টাকা পাঠাতে সোনালী ব্যাংকে যেতে হয়। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত পার্কিং না থাকা মোটর সাইকেল রাখা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। গ্রাহকের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা রাখার দাবি করেন তিনি। কেশবপুরের মাছ ব্যবসায়ী উবাইদুর রহমান  বলেন, সোনালী  ব্যাংকে প্রতিদিন লক্ষ লক্ষ টাকা লেনদেন করি। ব্যাংকের নীচে মোটর সাইকেল রাখার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। ছোট একটু জায়গা থাকলেও সেখানে ৫/৬ টি মোটর সাইকেল রাখা গেলেও সেখানে কোন নিরাপত্তা নেই। যে কারণে অন্য দোকানের সামনে মোটর সাইকেল রেখে উপরে ব্যাংকে যেতে হয়। চুরির ভয়ে ঠিকমত কাজ করতে পারিনা। দ্রুত কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় ভুল হয়ে যায়। সোনালী ব্যাংকের গ্রাহক হাফিজুর রহমান বলেন, প্রায় প্রতিদিনই দেশের বিভিন্ন স্থানে টাকা পাঠাতে সোনালী ব্যাংকে যেতে হয়। কিন্তু সেখানে পর্যাপ্ত পার্কিং না থাকায় মোটরসাইকেল রাখা নিয়ে বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। গ্রাহকের সুবিধার্থে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা রয়েছে এমন স্থানে ব্যাংকের শাখা স্থানান্তরের  দাবি জানান তিনি। অপর  এক গ্রাহক আব্দুল করিম বলেন, এমন কিছু সরকারি সেবা রয়েছে যেটা নিতে সোনালী ব্যাংকে আসতেই হয়। চাইলেও অন্য ব্যাংকে যেতে পারছি না। তবে এখানে পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় বিড়ম্বনায় পড়তে হয়। দীর্ঘদিন ধরে এমন ভোগান্তি পোহালেও কর্তৃপক্ষ দেখেও না দেখার ভান করে থাকে। গ্রাহকের ভোগান্তির কথা ভেবে তিনি ব্যাংকের শাখা পর্যাপ্ত পার্কিং ব্যবস্থা রয়েছে এমন স্থানে নিয়ে যাবার দাবি করেন। ব্যবসায়ী আবু হাসান রনি, আবুল কালাম আজাদ, শহিদুল ইসলামসহ শতাধিক গ্রাহক এই ব্যাংকের শাখা স্থানান্তরের দাবি করেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *