বিনোদন ডেস্ক
ব্যস্ত শহুরে জীবনের কোলাহল থেকে একটু দূরে যেতে মন চাচ্ছিল অনেকদিন ধরেই। ঠিক করলাম এবার নিজেকে সময় দেব, প্রকৃতির কাছে ফিরব। গন্তব্য হিসেবে বেছে নিলাম অস্ট্রেলিয়া। সেখানে যে কী সৌন্দর্য লুকিয়ে আছে, না দেখলে বিশ্বাস করা যায় না। আমার যাত্রা শুরু হয় নিউ সাউথ ওয়েলস থেকে। সেখানের রোদেলা সকালে সমুদ্রের ধারে দাঁড়িয়ে মনে হচ্ছিল এই শহর যেন জীবনের অন্য এক সংস্করণ। এখানকার মানুষের সহজ হাসি আর মুক্ত বাতাসে একটা প্রশান্তি আছে, যা আমাদের ব্যস্ত জীবনে খুবই বিরল। গ্লেডসউড হিলস রিজার্ভে গিয়ে মনে হয়েছিল, প্রকৃতি যেন এখানে নিজ হাতে স্বপ্ন বুনেছে। সবুজের সমারোহ, নরম ঘাসে ঢাকা টিলা আর হালকা বাতাস সব মিলিয়ে এক অপূর্ব প্রশান্তি। প্রতি মুহূর্তে, যেন প্রকৃতির ক্যানভাসে নতুন এক ছবি আঁকা হচ্ছে। ব্যস্ত জীবনের চাপের ভেতর এমন দৃশ্য আমাকে গভীরভাবে ছুঁয়ে গেছে। সেখানে বসে বুঝেছি নিজেকে শান্ত করার সবচেয়ে সহজ পথ হলো প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকা। সবুজ পাহাড়, আঙুর বাগান আর হালকা বাতাস সব মিলে এক স্বপ্নময় পরিবেশ। সন্ধ্যার পর সূর্যাস্তের রঙে যখন আকাশ ভরে উঠল, আমি নিঃশব্দে তাকিয়ে রইলাম। মনে হলো, প্রকৃতি নিজেই যেন আমার সঙ্গে কথা বলছে।পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ইয়ালিং আপ আমার ভ্রমণের সবচেয়ে প্রিয় জায়গা। নীল সমুদ্রের ঢেউ, সাদা বালুর তট, আর চারপাশের নিস্তব্ধতা–সব মিলিয়ে যেন পৃথিবীর এক টুকরো স্বর্গ। সেখানে বসে নিজের ভেতরের মানুষটার সঙ্গে আলাপ হয়েছিল অনেকদিন পর।
শেষে ঘুরে এলাম লিউউইন ন্যাচারালিস্ট জাতীয় উদ্যান। বিশাল গাছ, পাখির কলতান আর সূর্যের আলোয় ঝলমল করা পাতাগুলো যেন জীবনের শান্তি ছড়িয়ে দেয়। মনে হলো এটিই আসল প্রশান্তি, যেটি আমরা শহরে থেকে হারিয়ে ফেলেছি। কোনো প্রিয় জায়গায় বেড়াতে গেলে কাছের বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করতে ভালো লাগে। এবারের ভ্রমণে আমার ঘোরাঘুরির কিছু মুহূর্ত সামাজিক মাধ্যমে বন্ধুদের সঙ্গে শেয়ার করেছি। সবাই বেশ ইতিবাচক মন্তব্য করেছে। সবার মন্তব্য দেখে ভালোই লেগেছে। অস্ট্রেলিয়া আমাকে নতুন করে জীবনকে ভালোবাসতে শিখিয়েছে। এই সফর আমাকে মানসিকভাবে চাঙা করেছে। এই ভ্রমণ শুধু একটা যাত্রা নয়, বরং নিজেকে খুঁজে পাওয়ার এক সুন্দর উপলব্ধি। সময় সুযোগ পেলেই আবার ঘুরতে যাব সেখানে।
