ক্রীড়া ডেস্ক
বিসিবি নির্বাচন: তামিম ইকবালসহ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীর সরে দাঁড়ানো
ঢাকা: বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালনা পর্ষদ নির্বাচনকে ঘিরে তৈরি হওয়া জটিলতার অবসান হচ্ছেনা। মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিনে জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক তামিম ইকবালসহ আরও বেশ কয়েকজন প্রার্থী নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন। এই নির্বাচনকে দেশের ক্রিকেটের জন্য “কালো অধ্যায়” আখ্যা দিয়ে তামিম ইকবাল জানিয়েছেন, “নোংরামির সঙ্গে থাকতে চান না” বলেই তিনি এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
রোববার নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর পর গণমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তামিম ইকবাল বলেন, “আপনারা যখন নির্বাচন কমিশন চূড়ান্ত তালিকা দেবে, তখন সে তালিকা দেখলেই বুঝবেন যারা সরে গেছেন তাদের সবাই হেভিওয়েট। এটা আমাদের মতো করে আমাদের প্রতিবাদ যে, এই নোংরামির অংশ হয়ে আমরা থাকতে পারব না। বাংলাদেশের ক্রিকেট এটা ডিজার্ভ করে না।”
তামিম এই নির্বাচনকে বিসিবির ইতিহাসের এক কলঙ্কময় অধ্যায় হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, “এখন যারা বিসিবিতে আছেন, তারা যেভাবে ইলেকশন করছেন, সেভাবে তারা জিততেও পারেন। তবে এটা ইলেকশন হচ্ছে না। আমি একটা কথাই বলব যে, ক্রিকেট হেরে গেছে।”
ক্রিকেটে ফিক্সিং বন্ধের জন্য যে কথাগুলো বলা হয়, তার প্রসঙ্গ টেনে তামিম বলেন, “আপনারা বলেন যে, ক্রিকেটে ফিক্সিং বন্ধ করা লাগবে। তাদের বলব, আগে আপনারা নির্বাচনের ফিক্সিং বন্ধ করেন। এই নির্বাচন বিসিবির ইতিহাসে একটা কালো অধ্যায় হয়ে থাকবে।”
নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সাবেক এই অধিনায়ক বলেন, “মনোনয়ন প্রত্যাহার করেছি আমিসহ ১৪-১৫ জন। প্রত্যাহার করার কারণ খুবই স্পষ্ট। মনে হয় না এটা নিয়ে আমাকে বিস্তারিত বা ব্যাখ্যা করে কিছু বলার আছে। আমি শুরু থেকেই বলে আসছি, নির্বাচনটা কীভাবে হচ্ছে বা কোনদিকে যাচ্ছে এটা সবাই এখন দেখছে। যখন যা মনে হচ্ছে, তখন তা করা হচ্ছে। এটা আসলে নির্বাচন নয়। ক্রিকেটের সঙ্গে এই জিনিসটা কোনোদিক থেকেই মানায় না।”
বিসিবি নির্বাচনকে ঘিরে গত কয়েক সপ্তাহ ধরে চলছে তীব্র লবিিং ও রাজনৈতিক প্রভাবের অভিযোগ। ক্রিকেট অঙ্গনে এই অবস্থাকে অনেকেই দেখছেন একটি সংকট হিসেবে, যা বাংলাদেশের ক্রিকেটের ভবিষ্যতের জন্য সুখকর নয়।
