তাবলিগ জামাতের দুই পক্ষের সংঘর্ষে উদ্বেগ
তাবলিগে সংঘাতের ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম। তাবলিগ জামাতের দুটি পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ফলে হতাহতের ঘটনায় সংগঠনটি গভীর দুঃখ প্রকাশ করে। দলের পক্ষ থেকে দোষী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় এনে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানানো হয়েছে।
দোষীদের বিচার এবং ক্ষতিপূরণের দাবি
মুফতি ফয়জুল করিম দাবি করেন, যারা তাবলিগ জামাতে এই সংঘর্ষে ইন্ধন দিয়েছেন এবং যারা সরাসরি হামলা চালিয়েছেন, তাদেরকে চিহ্নিত করে আইনগত ব্যবস্থা নিতে হবে। তাছাড়া, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ প্রদান এবং আহতদের সুচিকিৎসা নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছেন তিনি। এই ঘটনার পর, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ তার অবস্থান স্পষ্ট করে এবং দোষীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনার আহ্বান জানায়।
মাওলানা সাদের বক্তব্যের প্রভাব
মুফতি ফয়জুল করিম বলেন, “মাওলানা সাদের কিছু বক্তব্যের কারণে তাবলিগ জামাতে দুটি ধারা তৈরি হয়েছে, যা দুঃখজনক হলেও উদ্বেগজনক।” তাঁর মতে, তাবলিগ জামাতের ইতিহাস ও চরিত্রের সঙ্গে এমন হানাহানি ও সংঘর্ষের কোনো সম্পর্ক নেই এবং এটি মুসলিম উম্মাহর জন্য খারাপ দৃষ্টান্ত হতে পারে।
ঐক্য প্রতিষ্ঠার আহ্বান
ফয়জুল করিম বিবদমান দুই পক্ষকে নিজেদের সমস্যা নিজেদের মধ্যে আলোচনা করে সমাধান করতে আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “দ্বন্দ্বমান দুই পক্ষকে নিজেদের মধ্যে আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধান করতে হবে, তবে তারা যেন ইসলামী ঐক্যের প্রতি সম্মান রেখে এই সংঘর্ষ বন্ধ করে।”
তিনি আরও জানান, দেশের সর্বজনস্বীকৃত উলামায়ে কেরাম এবং প্রয়োজনে আন্তর্জাতিক ইসলামি উলামাদের সমন্বয়ে গঠিত একটি কমিটি এই সমস্যার সমাধান করতে পারে।
ইসলামী আন্দোলনের আলোচনা ও পদক্ষেপ
আজ বিকেলে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম কাকরাইলে মারকাজ মসজিদে উপস্থিত হয়ে তাবলিগ জামাতের দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের সঙ্গে বিস্তারিত আলোচনা করেন। এসময় ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা গাজী আতাউর রহমান, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য আতিয়ার রহমান, দপ্তর সম্পাদক মাওলানা লোকমান জাফরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ব মুসলিম উম্মাহর ঐক্য বজায় রাখার প্রয়োজনীয়তা
তাবলিগ জামাতের সংঘর্ষের ঘটনায় ইসলামি বিশ্বে ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই ধরনের সংঘাত মুসলিম উম্মাহর ঐক্যকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং এর ফলে দাওয়াতি কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই, তাবলিগ জামাতের ঐতিহাসিক ভূমিকা এবং এর সমাজে ইতিবাচক প্রভাব বজায় রাখতে ইসলামী ঐক্য প্রতিষ্ঠা জরুরি।
নিরাপদ ভবিষ্যতের জন্য শান্তিপূর্ণ সমাধান
এখন প্রয়োজন একটি শান্তিপূর্ণ সমাধান, যা মুসলিম উম্মাহর মঙ্গলময় ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করতে সহায়তা করবে। ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ এবং অন্যান্য ইসলামি সংগঠনগুলোর ঐক্যবদ্ধ পদক্ষেপই এই সংঘাতের সমাধান ও শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে পারে।
Share Now