টানা বৃষ্টিতে পটুয়াখালীতে জনজীবন স্থবির ১৭ রুটে লঞ্চ চলাচল বন্ধ

কাজী মামুন, পটুয়াখালী

উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট লঘুচাপের প্রভাবে পটুয়াখালীতে টানা দুই দিন ধরে হালকা থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। আকাশ আচ্ছন্ন হয়ে রয়েছে ঘন কালো মেঘে। যদিও বাতাসের তীব্রতা নেই, তবে অমাবস্যার জোয়ারের প্রভাবে নদ-নদীর পানির উচ্চতা স্বাভাবিকের তুলনায় কিছুটা বেড়েছে। উত্তাল হয়ে উঠেছে কুয়াকাটা উপকূলসংলগ্ন বঙ্গোপসাগর। পটুয়াখালী নৌ-বন্দরের সহকারী পরিচালক মো. জাকী শাহরিয়া জানান, সমুদ্রে নিম্নচাপ ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত এবং অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোতে ২ নম্বর সংকেতের কারণে অভ্যন্তরীণ ১৭টি রুটে সকল লঞ্চ চলাচল বন্ধ করা হয়েছে। পাশাপাশি জেলার সব স্পিডবোট চলাচলও নিষিদ্ধ করা হয়েছে। লঘুচাপটি আরও ঘনীভূত হতে পারে বলে পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে। এতে উপকূলীয় এলাকায় ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এজন্য দেশের চারটি সমুদ্রবন্দরÑএর মধ্যে পটুয়াখালীর পায়রা বন্দরসহÑতিন নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত দেখিয়ে যেতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এদিকে, বৃহস্পতিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় পটুয়াখালীতে বৃষ্টিপাত রেকর্ড হয়েছে ৭০.৫ মিলিমিটার। অব্যাহত বৃষ্টিপাতে জেলার নিম্নাঞ্চল, পুকুর, মাছের ঘের, আবাদি জমি ও বসতবাড়ি তলিয়ে গেছে। অনেক এলাকার জমিতে ৪ থেকে ৬ ফুট পর্যন্ত পানি জমেছে। পানি নিষ্কাশনের জন্য থাকা জলাধার ও খালগুলোর অধিকাংশই পানিনিষ্কাশনে ব্যর্থ হওয়ায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। বৃষ্টির সঙ্গে কনকনে ঠান্ডা বাতাস যোগ হওয়ায় পটুয়াখালীতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা স্থবির হয়ে পড়েছে। সবচেয়ে বেশি ভোগান্তিতে পড়েছেন দিনমজুর, চাকরিজীবী ও শিক্ষার্থীরা। দোকানপাট খোলা থাকলেও বাজারে নেই তেমন ক্রেতার আনাগোনা। পর্যটননগরী ‘সাগরকন্যা’ কুয়াকাটাতেও কমে গেছে পর্যটকের সংখ্যা। অল্পসংখ্যক যেসব পর্যটক রয়েছেন, তারাও কার্যত হোটেলকক্ষেই আবদ্ধ হয়ে আছেন। সাগর উত্তাল থাকায় কাউকে সমুদ্রে নামতে দেওয়া হয়নি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *