ePaper

চীনের অর্থায়নে ১০০০ শয্যার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালটি পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন

ইনসান সাগরেদ, পঞ্চগড়
উত্তরের শেষ জেলা পঞ্চগড় আর এজেলায় স্বাস্থ্য সেবার খুবই ভঙ্গুর অবস্থা। হাসপাতাল আছে ডাক্তার নেই। নিম্নবিত্ত পরিবার গুলোর একমাত্র ভরসাস্থল পঞ্চগড় আধুনিক সদর হাসপাতাল। কিন্তু এই হাসপাতালে প্রয়োজনীয় সংখ্যায় ডাক্তার নেই। নেই চাহিদা অনুযায়ী দক্ষ জনবল। যার পরি প্রেক্ষিতে কাঙ্খিত সেবা থেকে বঞ্চিত এ জেলার বসবাসরত নিম্নবিত্ত পরিবারের মানুষ জন। চীনের অর্থায়নে ১০০০ শয্যার প্রস্তাবিত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালটি পঞ্চগড়ে স্থাপনের দাবিতে গণজমায়েত ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর সাধারন মুসুল্লিদের ব্যানারে শহরের জজ কোর্ট এলাকায় গণজমায়েত শুরু হয়। পরে আলাদা আলাদা ব্যানারে খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে পঞ্চগড় শহরের চৌরঙ্গী মোড়ে জড়ো হয় সাধারণ মুসুল্লিরা। পরে সেখানে পঞ্চগড়-ঢাকা মহাসড়কের পাশে দাড়িয়ে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পঞ্চগড় জেলা ছাত্রশিবিরের সভাপতি জুলফিকার রহমানের সঞ্চালনায় পৌর বিএনপি’র সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক ছাত্রদলের সাধারন সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন রনিক, পৌর বিএনপি নেতা হায়াতুন আলম, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ফজলে রাব্বি কেন্দ্রীয় মসজিদের খতিব সহ বেশ কয়েকজন বক্তব্য রাখেন। সভায় বক্তারা বলেন, আমাদের পার্শ্ববর্তী জেলা দিনাজপুর, রংপুর ও নীলফামারীতে মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল রয়েছে। এই জেলাগুলোর দূরত্ব খুবই কম এবং কাছাকাছি। কিন্তু পঞ্চগড় থেকে এই জেলাগুলোর দূরত্ব অনেক বেশি। পঞ্চগড় হাসপাতালে একজন রোগী গুরুতর আহত হয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রংপুর দিনাজপুরে স্থানান্তরিত করা হয়। মাঝপথে অনেক সময় মৃত্যু ঘটে। আমাদের নাগরিক দাবি মানসম্মত চিকিৎসা চাই। চীনের অর্থায়নে প্রস্তাবিত ১০০০ শয্যার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতাল পঞ্চগড়ে করতে হবে। তাহলে ভূটান, নেপাল ও চীনের ছাত্রছাত্রীরা পড়াশুনা করতে আসবে। চিকিৎসা সেবা নিতে আসবে। আমরাও বিশ্বমানের চিকিৎসা সেবা পাবো। কেননা গত ২০২৩ সালের ৮ এপ্রিল চীনের সহযোগিতায় ১০০০ শয্যার মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ভিত্তি প্রস্থর উদ্বোধন করেছেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুন্সী ও চীনের রাষ্ট্রদূত মি. ইয়াও ওয়েন। কিন্তু পাশের দেশের আপত্তিতে কাজ বন্ধ হয়ে যায়। পঞ্চগড়ে শুধু ১২ একর জমি নয় শত একর নির্ভেজাল জমি আছে। যদি হাসপাতালটি পঞ্চগড়ে করা না হয় তাহলে বৃহৎ আন্দোলন গড়ে তোলা হবে বলে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *