চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে মালামালের গুদামে দুর্র্ধষ ডাকাতির ঘটনায় আন্তঃজেলা ডাকাতদলের ৭ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে ঢাকার সাভার ও কেরানীগঞ্জে ৬ জন এবং লক্ষ্মীপুর জেলা থেকে আরো ১ জনকে গত বুধবার রাতে গ্রেপ্তার করে শাহরাস্তি থানা পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে চাঁদপুরের পুলিশ সুপার মুহম্মদ আব্দুর রকিব সংবাদ সম্মেলনে এসব বিষয় জানান। গত ৮ জুলাই শাহরাস্তি পৌরসভার ঠাকুর বাজারে গুদামের দারোয়ানের হাত-পা বেঁধে সার্টার ভেঙে এই ডাকাতির ঘটনা ঘটে। পুলিশ সুপার জানান, দুর্র্ধষ এই ডাকাত দলের কাজ হলো- দেশের বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে প্রথমে শিকার খোঁজে। পরে টার্গেট করে ডাকাতি করে। আর তারই অংশ হিসেবে শাহরাস্তিতে ডাকাতদল গুদামের দারোয়ানের হাত-পা বেঁধে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মালামাল নিয়ে চম্পট দেয়। তবে ঘটনার পর তারা প্রায় সব মালামালই অন্যত্র বিক্রি করে দেয়। তিনি আরো বলেন, তবে বেশকিছু মালামাল, ৩টি মুঠোফোন ও নগদ টাকা উদ্ধার করে। এই ৭ ডাকাতের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় একাধিক ডাকাতির মামলা রয়েছে। চাঁদপুরে পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) মো. লুৎফর রহমান জানান, পেশাদার এবং দুর্র্ধষ প্রকৃতির এই ডাকাতদলের সদস্যদের ঢাকা জেলা পুলিশের সহায়তায় শাহরাস্তি থানা পুলিশের একটি দল গ্রেপ্তার করতে সক্ষম হয়। গ্রেপ্তাররা হচ্ছেন- লক্ষ্মীপুর সদরের টুমচর এলাকার মো. দেলোয়ার (৪০), ঢাকার কেরানীগঞ্জের সুবাড্ডার আব্দুল মালেক আকন (৬০), কুষ্টিয়ার কুমারখালি সোহেল রানা ওরফে শাওন (৩৯) এবং ঢাকার আশুলিয়ার সাহাবউদ্দিন সাবু (৩২)। এ ছাড়া অন্য ৩ ডাকাত ঢাকা জেলা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। শাহরাস্তি থানার ওসি আবুল বাশার জানান, শাহরাস্তি পৌরসভার ঠাকুরবাজারের পাটোয়ারী এন্টারপ্রাইজ নামে মালামালের একটি গুদামে গত ৮ জুলাই রাতের এই ডাকাতির ঘটনায় এমরান হোসেন বাদী হয়ে ৮-১০ জনকে আসামি করে মামলা করেন। পরে পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) অলি উল্লাহকে মামলা তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে ডাকাতির ঘটনার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ডাকাতদের গ্রেপ্তারে অভিযান শুরু করে। এ সময় তাকে সহযোগিতা করেন এসআই আতোয়ার রহমান ও এএসআই মো. শহীদুল্লাহ্। এদিকে গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরের পর চাঁদপুরের আদালতে এই ৪ ডাকাতকে তোলা হয়। আদালতে ডাকাতরা ঘটনার বর্ণনা করে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেন। পরে আদালতের নির্দেশে জেলা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। অন্যদিকে, দ্রুত সময়ের মধ্যে ডাকাতদলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করতে পারায়, অভিযানে অংশ নেওয়া পুলিশ কর্মকর্তাদের আর্থিকভাবে পুরস্কৃত করেছে পুলিশ।
