আমিনুল হক শাহীন, চট্টগ্রাম ব্যুরোঃ চট্টগ্রাম বন্দরের বহি নোঙ্গরে মাদার ভেসেল হতে লাইটার জাহাজে পণ্য বজায় করার পর লাইটার সমূহ যৌক্তিক কোনো কারণ ছাড়াই পোর্ট লিমিটেড এর মধ্যে বিভিন্ন জায়গায় দিনের পর দিন অব¯’ান করে। যা পূণ্য সরবরাহ ব্যব¯’ায় এবং সাধারণ জনগণের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, বাজারে পণ্যের কৃত্রিম সংকট তৈরি করে, দ্রব্যমূলক বৃদ্ধি এবং ভক্তাদের উপর নীতি বাচক প্রভাব ফেলে। এভাবে বাজারে কৃত্রিম সংকট সৃষ্টি করে মূল্য বৃদ্ধির অপচেষ্টা রাষ্ট্র এবং জনস্বার্থ বিরোধী। গত ২৭ শে ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সাথে প্রিন্ট, ইলেকট্রনিক ও অনলাইন মিডিয়ার প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় কালে চট্টগ্রাম বন্দর চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল এস এম মনিরুজ্জামান এসব কথা বলেন। এ সময় চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা উপ¯ি’ত ছিলেন। সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে বন্দর কর্তৃপক্ষ বলেন, এছাড়াও সীমিত এলাকায় এত অধিক সংখ্যক লাইটারের অব¯’ানের কারণে নিরাপত্তা ব্যাহত হওয়ার পাশাপাশি সাপ্লাই চেইনও বিঘ্নিত হয়। আন্তর্জাতিক বাণিজ্যিক জাহাজের নিরবি”িছন্ন চলাচলের জন্য পোর্ট লিমিট সবসময় প্রতিবন্ধকতা মুক্ত রাখা জরুরি। লাইটার জাহাজ সমূহের বন্দর সীমানায় এরূপ অনিরাপদ অব¯’ান চট্টগ্রাম বন্দর আইন এবং আইএসপিএস কোড এর সুস্পষ্ট লঙ্গন। এসময় কর্তৃপক্ষ আসন্ন পবিত্র রমজান মাসে নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্যসহ সকল পণ্যের সাপ্লাই চেইন অবিঘ্নিত রাখা, বাজারে দ্রব্যমূল্য ¯ি’তিশীল রাখা এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কার্য্যক্রম নিরবি”িছন্ন রাখা ও নিরাপদ নৌ চলাচলের স্বার্থে মালাফল লোড করার পর লাইটার জাহাজ সমূহকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে পোর্ট লিমিট ত্যাগ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করেন। অন্যথায় চট্টগ্রাম বন্দর আইন এবং আইএসপিএস কোড অনুযায়ী প্রযোজ্য আইনের ব্যব¯’া গ্রহণ করা হবে বলে জানান। এ সময়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে বলেন, বর্তমানে ইয়ারলেস এবং ইয়ার্ড ভেসেল সমন্বয় করে শতভাগ জেটি বা বার্থ ব্যবহার করা হ”েছ যাতে যে কোন যাহা জেলে সহজে ভিরতে পারে। আগে তুলনামূলকভাবে ছোট জাহাজ আসতো। একটা জাহাজে ৮ শত থেকে ১২০০ কন্টেইনার বহন করত। এখন বন্দর কর্তৃপক্ষ আমদানি কার কন্ঠে সিসি এগ্রিমেন্ট এর মাধ্যমে ম্যাক্সিমাম ক্যাপাসিটি জাহাজ আনতে উদ্বুদ্ধ করে। ফলে বড় জাহাজে অনেক বেশি কার্গো আসে। এইজন্য জাহাজের সংখ্যা কমেছে ক্যাপাসিটি বেড়েছে। খরচ ভেতরে অনেক কন্টেইনার দীর্ঘদিন যাবৎ পড়েছিল সেগুলো অপসারণ করা হয়েছে কমেছে ব্যব¯’াপনায় পেয়েছে গতি। চারটি ট্যাঙ্কারে মারাত্মক ঝুঁকিপূর্ণ কেমিক্যাল দাহ পদার্থ আইনে জটিলতায় দীর্ঘদিন পড়েছিল সেগুলো যেকোনো সময় বিস্ফোরণ হতে পারত। এটা দ্রুত সময় ছড়িয়ে ফেলি অল্প সময়ে এটা অপশনের ব্যব¯’া করি ফলের সরকার রাজস্ব পেয়েছে বন্দর এখন বিপদজনক কার্গো থেকে ঝুঁকিমুক্ত। ১২০ টি রেফার কনটেইনার প্রায় নয় মাস ধরে ফ্ল্যাগ ইন ছিল এগুলোর মাধ্যমে মাংস এবং ফলমূল বিদেশ থেকে আমদানি করা হয়েছিল। এগুলো ডিসপোজ করা কঠিন ছিল। দীর্ঘদিন পড়ে থাকার ফলে ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। পাশাপাশি পরিবেশের ছাড়পত্রের ব্যাপার ছিল। জেলা প্রশাসনের সহায়তা সেগুলো ডেসপোস করি। এইজন্য বিদেশ মেইন লাইন অপারেটররা আমাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। এ ধরনের কাজ বিগত ১০ থেকে ১৫ বছরে হয়নি। চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ তিন থেকে চার মাসের মধ্যে করতে পেরেছে যা আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে প্রশংসিত হয়েছে। গত ২০২৪ সালে চট্টগ্রাম বন্দর অতীতের সকল রেকর্ড ভঙ্গ করে সর্বো”চ সংখ্যক কন্টেইনার কার্গো হ্যান্ডেলিং করতে সক্ষম হয়েছে। ১ জানুয়ারি থেকে ৩০ ডিসেম্বর পর্যন্ত চট্টগ্রাম বন্দরে ৩.২৭ মিলিয়ন টিইই ইউএস ৩২ লক্ষ ৭৫ হাজার ৬২৭ টিইইউএস কন্টেইনার, ১২৩ মিলিয়ন মেট্রিক টন ও ৩৮৬৭ টি জাহাজ হ্যান্ডলিং হয়েছে। যা ২০২৩ সালের তুলনায় ২০১৪ সালে কোয়ান্টেইনার হ্যান্ডেলিংয়ে ৭.৪২ পার্সেন্ট ও কার্গো হ্যান্ডেলিং এ ৩.১১% প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে।
চট্টগ্রাম বন্দরের মত বিনিয়ম সভা রমজান মাসে বন্দরে লাইটার জাহাজ সমূহের ৭২ ঘন্টার মধ্যে পোর্ট লিমিট ত্যাগ করার নির্দেশ
