ePaper

চট্টগ্রাম ইপিজেড-বিমান বন্দর সড়কের বেহাল অবস্থা

আমিনুল হক শাহীন, চট্টগ্রাম

চট্টগ্রাম মহানগরের ব্যস্ততম ইপিজেড বিমান বন্দরের সড়ক বেহাল অবস্থায় পরিনত হয়েছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দ। টানা বৃষ্টিতে হাটু পানিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। এতে চরম দূর্ভোগে পড়েছে লক্ষ লক্ষ গার্মেন্স শ্রমিক, বিমান বন্দর থেকে শুরু করে গুরুত্বপূর্ণ স্থানে আগত যাত্রীরা। বিশেষ করে নারিকেল তলা থেকে সিমেন্ট ক্রসিং এলাকা প্রধান সড়ক প্রায় চলাচল অনুপযোগী। গতকাল বুধবার সকালে হক সাহেব রোডস্থ মেইন সড়কে অকেজো অবস্থায় আটকে রয়েছে কার্গো-কভার ভ্যান গাড়ি। তাছাড়া বেহাল দশা হওয়ার সড়ক টি সকাল বিকাল সাড়ে তিনটা পর‌্যন্ত এক পাশ বন্ধ থাকতে দেখা যায়। এছাড়া গত ২ দিনের প্রবল বৃষ্টির পানি জমে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে। অলি-গলিতে ড্রেন- নালায় ময়লা আবর্জনা জমে তীব্র জলযট এবং নিচু বাসাবাড়িতে হাটু সমান পানি উঠে দূর্ভোগ সৃষ্টি হয়। তবে চসিকের সেবকরা পরিস্কার পরিচ্ছন্ন কাজ করতে দেখা গেছে। ম্যাক্স কোম্পানির উন্নয়ন কাজের জন্য আশ-পাশের ফুটপাত, ড্রেন- নালা সংস্কারের অভাবে দীর্ঘ জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হচ্ছে বলে একাধিক স্থানীয় লোকজন অভিযোগ করেন। স্থানীয় বাসিন্দা ও চসিকের সাবেক ইঞ্জিনিয়ার আবু সিদ্দিক বলেন, নারিকেল তলা থেকে আলী শাহ জামে মসজিদ পর‌্যন্ত বিশাল অর্থ ব্যয়ে নির্মিত ড্রেন- নালার পানি নিষ্কাশনের সংযোগ কর্ণফুলী নদী ও বড় খালের সাথে যুক্ত করা হলে এর সমস্যা সহজেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে না। এছাড়া অলি-গলির খানাখন্দে ভরা ড্রেন- নালা নর্দমার উপর সকল অবৈধ স্থাপনা এবং যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলা থেকে সবাইকে বিরত থাকতে হবে। উক্ত স্থানে গত কয়েকদিন আগে স্থানীয় সামাজিক সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দরা নিজ উদ্যোগে সংস্কার উন্নয়ন কাজ করে কিছুটা উন্নতি করলেও ভারী বৃষ্টিপাতে বড় বড় গাড়ী চলাচল করাতে সড়কের বিভিন্ন অংশে ক্ষতবিক্ষত গর্ত সৃষ্টি হয়ে মারাত্মক মরণ ফাঁদ তৈরি হয়েছে। উপরের উন্নয়ন কাজ ও নিচে বিভিন্ন অবকাঠামো ও যত্রতত্র রেখে দিন দিন সড়ক ও ফুটপাতে চলাচল এবং হাঁটাচলা ফেরা করাও অসম্ভব হয়ে পড়েছে। দুই ইপিজেডের লক্ষ্যাধিক শ্রমিক জনতা, বিমান গামীও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত পর‌্যটন কেন্দ্র থেকে ফিরে আসা যাত্রীসাধারণ বেশ কয়েক মাস ধরে চরম দুর্ভোগ-দূর্ঘটনায় পতিত হবার খবর বিভিন্ন মিডিয়ায় প্রকাশিত হয়েছে। বিষয় টি সিটি মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেনের দৃষ্টি আকর্ষণ করলে তিনি সংশ্লিষ্টদের জানিয়ে গেলেও তার কথা কেউ কর্ণপাত করেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় এলাকাবাসী।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *