গোবিন্দগঞ্জ(গাইবান্ধা)প্রতিনিধি
গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে যৌথ বাহিনীল অভিযানে সাইবার অপরাধে জড়িত দুই ব্যক্তির বাড়ি থেকে নগদ টাকা সহ বিপুল পরিমাণ প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম ও সিম কার্ড জব্দ করা হয়েছে। অভিযুক্তরা চিহ্নিত হ্যাকার বলে নিশ্চিত করেছে পুুলিশ। এলাকায় তাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দফতরের সরকারি ভাতা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে। গতকাল শনিবার দুপুরে অভিযানে ও নগদ টাকাসহ প্রযুক্তিগত সরঞ্জাম উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম। তিনি জানান, শুক্রবার গভীর রাত পর্যন্ত গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের উত্তর সিংগা গ্রামে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে অংশ নেয় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা। এদিন প্রথমে অভিযান চালানো হয় জুয়েল নামের এক হ্যাকার বাড়িতে। তার ঘর থেকে উদ্ধার করা হয় একটি ল্যাপটপ, ডেস্কটপ কম্পিউটার, অ্যান্ড্রয়েড ও বাটন ফোন, এবং শতাধিক সিম কার্ড-যার মধ্যে গ্রামীণফোন, স্কুটো, রবি-এয়ারটেল এবং বাংলালিংকের সিম রয়েছে। এছাড়াও তার ঘর থেকে জব্দ করা হয়েছে নগদ টাকা। ওই রাতেই পরে অন্য এক হ্যাকার রনির বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করা হয়। তার বাড়ি থেকেও উদ্ধার করা হয়েছে পযুক্তিগত নানা উপকরণ, যার মধ্যে রয়েছে হার্ডড্রাইভ, পেনড্রাইভ, রাউটার, সিসিটিভি ক্যামেরা, কম্পিউটার, প্রিন্টার ও একটি ডায়েরি-যেটি সম্ভবত কার্যক্রমের রেকর্ড ধারণে ব্যবহৃত হতো। তবে ওই দুই হ্যাকার বাড়িতে না থাকায় তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি যৌথ বাহিনীর সদস্যরা। তবে যৌথ বাহিনী জানিয়েছে, অভিযুক্তদের চিহ্নিত করা হয়েছে এবং তাদের গ্রেফতারের বিষয়ে অভিযান চলমান থাকবে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্র জানায় বহুদিন ধরেই গোবিন্দগঞ্জ এলাকায় সাইবার অপরাধমূলক কর্মকান্ড ঘটিয়ে চলছে। এখানে একটি সক্রিয় অপরাধ চক্রের গোষ্ঠি রয়েছে। যারা সমাজসেবার বয়স্ক, প্রতিবন্দি ও বিধবা ভাতার টাকা উত্তোলন করে আসছিলেন। তাদের এই দুজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিলো উল্লেখযোগ্য। গোবিন্দগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বুলবুল ইসলাম বলেন, তারা দুজন চিহ্নিত সাইবার অপরাধী। এর আগে একই অপরাধে এই এলাকার কয়েক জন হ্যাকারকে গ্রেফতার করে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই দুইজনের বিরুদ্ধে পূর্বে কোনো লিখিত অভিযোগ না থাকায় তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। অভিযানের পর থেকেই তদন্তের মাধ্যমে এদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। তাদের বিষয়ে মামলা দায়ের বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন।