গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি
চলতি মৌসুমে গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে বোরো ধানের ভালো ফলন হয়েছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছাড়াও কৃষকদের বড় সমস্যা শ্রমিক সংকট। শ্রমিকের অভাবে সময়মতো ফসল ঘরে তুলতে না পারার আশঙ্কা করছেন কৃষকরা। আরও ১০ থেকে ১৫ দিন পরে পুরোদমে ধান কাটা শুরু হবে। এখন থেকেই মাঠ থেকে ধান ঘরে তোলা নিয়ে উদ্বিগ্ন উপজেলার কৃষকরা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় বোরো চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৩০ হাজার ৯৫৬ হেক্টর জমি। সেখানে ৩১ হাজার ১২০ হেক্টর জমি চাষ করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে ১৫৫ হেক্টর জমির ধান কাটা শেষ হয়েছে।
কৃষকরা বর্তমান আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কৃষি বিভাগ নিয়মিত মাঠে গিয়ে কৃষকদের প্রতিকূল পরিবেশে স্বল্প সময়ে ধান কাটার পরামর্শ প্রদান করছে। যে ধানগুলো জমিতে শতকরা ৮০ ভাগ পেকে গিয়েছে সেগুলো কাটার ব্যাপারে কৃষকদের পরামর্শ প্রদান করা হয়েছে। এছাড়া শ্রমিক সঙ্কটের বিকল্প হিসাবে উপজেলায় যে কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন রয়েছে, সেগুলো সচল রাখার জন্য প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। ইতিমধ্যে ৪৬টি কম্বাইন হারভেস্টার মেশিন চালু রয়েছে। কোন জায়গায় যদি শ্রমিক সংকট হয়, সেখানে কম্বাইন মেশিন দিয়ে দ্রুততার সাথে অল্প সময়ে ধান কাটার ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিকল কম্বাইন হারভেস্টার মেশিনগুলো মেরামতের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
দরবস্ত ইউনিয়নের বগুলাগাড়ী এনামুল হক জানান, তিনি ৬ বিঘা জমিতে বোরো ধান চাষ করেছেন। ফলন ভালো আশা করলেও প্রাকৃতিক দুর্যোগের আশঙ্কায় ভুগছেন। তারপর আবার শ্রমিক সংকটের দুশ্চিন্তা রয়েছে।এ বিষয়ে গাইবান্ধা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক খোরশেদ আলম বলেন, চলতি মৌসুমে গোবিন্দগঞ্জ উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬৪ হেক্টর বেশী জমিতে বোরো ধান চাষ করা হয়েছে। আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে কৃষক ধান ঘরে তুলতে পারবেন এবং দামও ভালো পাবেন।
তিনি আরও জানান, স্থানীয় জাতের ধানের পাশাপাশি উফশী জাতের কিছু ধান কর্তন শুরু হয়েছে। যেহেতু স্থানীয় জাতের ধানের কর্তন বেশী হয়েছে, সেজন্য ফলন কিছুটা কম। তবে যখন উফশী ও হাইব্রিড জাতের ধান কর্তন শুরু হবে, তখন ফলন আরও বৃদ্ধি পাবে।