ePaper

গোবিন্দগঞ্জে প্রতিকুলতা পেরিয়ে আলো ছড়াচ্ছে ছয়ঘরিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়

গোবিন্দগঞ্জ (গাইবান্ধা) প্রতিনিধি

গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার কোচাশহর শহর ইউনিয়নে একটি ঐতিহ্যবাহী ও সুনামধন্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছয়ঘরিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়। শহুরে কোলাহল থেকে দূরে গ্রামীণ পরিবেশে নানা প্রতিকুলতার মাঝেও প্রতিষ্ঠানটি নির্ভুলে জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে যাচ্ছে। সুদক্ষ পরিচালনা এবং নিবেদিত ও অফুরন্ত শিক্ষকদের আন্তরিকতার প্রচেষ্টায় এটি এখন এলাকার অন্যতম সেরা বিদ্যাপাঠ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, গ্রামীণ পরিবেশে অবস্থিত হওয়া সত্ত্বেও বিদ্যালয়টিতে শিক্ষার এক চমৎকার পরিবেশ বিরাজ করছে। শিক্ষার্থীদের সুশৃঙ্খল উপস্থিতি এবং শিক্ষকদের পাঠদানে আন্তরিকতা চোখে পড়ার মতো। এই সাফল্যের পেছনে মূল কারিগর হিসেবে কাজ করছেন বিদ্যালয়ের বর্তমান প্রধান শিক্ষক, মো, হামিদুর রহমান। তাঁর দূরদর্শী নেতৃত্ব কঠোর পরিশ্রম এবং উদ্ভাবনী চিন্তা ভাবনার ফলেই বিদ্যালয়টি আজ এ পর্যায়ে এসে পৌঁছেছে। অনেক গ্রামীণ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো ছয়ঘরিয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয়কেও অবকাঠামোগত সীমাবদ্ধতা, আর্থিক সংকট এবং সামাজিক নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে হয়। কিন্তু প্রধান শিক্ষক মো, হামিদুর রহমান ও তাঁর সহকর্মীদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এসব প্রতিকূলতা এখন প্রচেষ্টায় রূপান্তরিত হচ্ছে। তাঁরা শুধু পুঁথিগত বিদ্যালয়ে গুরুত্ব না দিয়ে শিক্ষার্থীদের নৈতিক শিক্ষা, সাংস্কৃতিক কর্মকান্ড এবং খেলাধুলার প্রতিও সমান ভাবে উৎসাহিত করছেন। ফলে পাবলিক পরীক্ষা গুলোতে শিক্ষার্থীরা ধারাবাহিক ভালো ফল অর্জন করার পাশাপাশি বিভিন্ন সহ-শিক্ষা কার্যক্রমেও নিজেদের প্রতিভার স্বাক্ষর রাখছে। এ বিষয়ে প্রধান শিক্ষক মো, হামিদুর রহমান বলেন, আমাদের লক্ষ্য শুধু ভালো ছাত্র তৈরি করা নয়, ভালো মানুষ তৈরি করা। প্রতিটি শিক্ষার্থীর মাঝে সুপ্ত সম্ভাবনা লুকিয়ে থাকে। আমরা শিক্ষকগণ সেই সম্ভাবনাকে জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করি। আমাদের সীমাবদ্ধতা আছে কিন্তু আমাদের ইচ্ছাশক্তি এবং এলাকাবাসীর সহযোগিতা আমাদের সবচেয়ে বড় শক্তি। ছয়ঘড়িয়া বহুমুখী উচ্চ বিদ্যালয় প্রমাণ করেছে যে, ঐকান্তিক ইচ্ছা ও সঠিক নেতৃত্ব থাকলে যেকোনো প্রতিকূল পরিবেশেও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানকে সাফল্যের বাতি ঘরে পরিণত করা সম্ভব। এই বিদ্যালয়টি এখন শুধু গোবিন্দগঞ্জের জন্যই নয়, সারাদেশের গ্রামীণ এলাকার জন্য একটি অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *