ePaper

খুলনার বাস্তুহারায় সংঘর্ষের ঘটনায় ২ মামলা আসামি ৫০০

খুলনা প্রতিনিধি

খুলনা মহানগরীর মুজগুন্নি এলাকার বাস্তুহারা কলোনিতে উচ্ছেদ অভিযানের সময় পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষের ঘটনায় দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। দুই মামলায় ৬৯ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪০০ থেকে ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে। একটি মামলা জাতীয় গৃহায়ন কর্তৃপক্ষ খুলনার উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী মাকসুদুল হক বাদী হয়ে দায়ের করেছেন। ওই মামলায় আসামি ৩২ জন। অপর মামলাটি খালিশপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) কোটাল আজাদ বাদী হয়ে দায়ের করেন। এ মামলায় ৩৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। গতকাল সোমবার খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর আতাহার আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, মামলা দুটি রোববার রাতে দায়ের করা হয়েছে। উল্লেখ্য, খুলনার নগরীর মুজগুন্নি ৯ নং ওয়ার্ডের বয়রা হাউজিং এস্টেট, সি ব্লকে (বাস্তুহারা মুক্তিযোদ্ধা কলোনি) অবৈধ উচ্ছেদ অভিযানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ-কলোনিবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংর্ঘষ হয়। ওই সংর্ঘষের ঘটনায় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিক্ষুব্ধরা সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে, গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে রাখেন। ওই অবস্থায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটার আশঙ্কায় ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশক্রমে পুলিশ লাঠি চার্জ করে এবং পাল্টা জবাবে স্থানীয়রা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়া বুলডোজার গাড়ির ওপরও হামলাসহ চালকের ওপর হামলা চালানো হয়। পুলিশ কলোনিবাসীর মধ্যে সংঘর্ষে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। স্থানীয়রা বলছেন, কিছু বুঝে ওঠার আগেই উচ্ছেদ করতে আসা পুলিশ সদস্যরা আমাদের ওপর লাঠিচার্জ, টিয়ার শেল এবং সর্বশেষ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেন। এ বিপরীতে পুলিশ বলছে, উচ্ছেদ অভিযান শুরুর আগেই তাদের ওপর হামলা চালায় কলোনিবাসী। পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনি কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে। সূত্রে জানা গেছে, খুলনার নগরীর মুজগুন্নি ৯নং ওয়ার্ডের বয়রা হাউজিং এস্টেট, সি ব্লক (বাস্তুহারা মুক্তিযোদ্ধা কলোনি) উচ্ছেদ অভিযানের ঘটনাকে কেন্দ্র করে রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) সকালে পুলিশ-কলোনিবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংর্ঘষ হয়। ওই সংর্ঘষের ঘটনায় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বিক্ষুব্ধরা সেখানে টায়ার জ্বালিয়ে, গাছের গুড়ি ফেলে রাস্তা অবরোধ করে রাখে। ওই অবস্থায় আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটার আশঙ্কায় ম্যাজিস্ট্রেটের নির্দেশক্রমে পুলিশ লাঠি চার্জ করে এবং পাল্টা জবাবে স্থানীয়রা ইটপাটকেল নিক্ষেপ শুরু করলে পুলিশ পিছু হটতে বাধ্য হয়। পরে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার লক্ষ্যে টিয়ারশেল নিক্ষেপ করে। এ সময় উচ্ছেদ অভিযানে যাওয়া বুলডোজার গাড়ির ওপরও হামলাসহ চালকের ওপরও হামলা চালানো হয়। পুলিশ কলোনিবাসীর মধ্যে ব্যাপক সংঘর্ষে কমপক্ষে অর্ধশতাধিক আহত হন। ১৯৮৭ সালে গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষ পাশের এ জায়গাটি লটারির মাধ্যমে প্লট আকারে বিক্রি করেন। তিন যুগের বেশি সময় পার হয়ে গেলেও এখনও জায়গা বুঝে পাননি সেখানকার ৪২ প্লট মালিক। ওই জায়গা প্লট মালিকদের বুঝে দিতে সংশ্লিষ্টরা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় রোববার সকালে উচ্ছেদ অভিযানের প্রস্তুতি শুরু করেন। ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তায় উচ্ছেদ অভিযানে গেলে পুলিশের সঙ্গে স্থানীয় বাসিন্দাদের এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *