মো. সহিদুল ইসলাম,মধুখালী
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া ইউনিয়নের গড়িয়াদহ খাল খনন কাজে বাধা দেওয়ায় হাজার হাজার একর জমির পাট ও ধান নিয়ে ফসল নিয়ে অনিশ্চয়তার মধ্যে রয়েছেন মধুখালী উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নের কৃষকরা। বৃষ্টি হলে ও গড়াই নদীর পানি বৃদ্ধির ফলে এই গড়িয়াদহ খাল দিয়ে বিলে পানি প্রবেশ করে তখন মাঠের ধান ফসল ভালো হয়ে এবং হাজার হাজার কৃষকরা পাট খেটে খালে বিলে নদীতে জাগতে দিতে পারে। কৃষকের মনে কোন দুঃখ থাকে না। নদীর পানি শুকনা সময়ে পানি নদীতে নেমে যাওয়ার ও বর্ষাকালে নদীর পানি মাঠে প্রবেশের একমাত্র ভরসা কামারখালী গড়াই নদী হয়ে গড়িয়াদহ খাল। সে খাল খনন কাজে বাধা পড়ায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন কয়েক হাজার কৃষক। জানা যায়, আড়পাড়া ইউনিয়নের গড়িয়াদহ চারখালের মাথা হতে কেটে একেবাড়ে গড়াই নদীর কুলে ব্যক্তি মালিকানা জমির সামনে এসে খাল কাটা বন্ধ হয়ে আছে। আরও জানা যায় জমির মালিক ইসলাম শিকদার নিজের জমি দাবী করে কোটে মামলা করে খাল কাটা বন্ধ করে দিয়েছে। এখন কোটে মামলা চলমান। এ ব্যাপারে ইসলাম শিকদারের নিকট ফোনে কথা বললে তিনি বলেন বিষয়টি ৯নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য ও সাবেক প্যালেন চেয়ারম্যান আ. রউফ মোল্যা জানেন। বিষয়টি নিয়ে আ. রউফ মোল্যার সাথে ফোনে কথা বললে তিনি বলেন নদীর পানি বৃদ্ধি পেলে মাঠে কৃষকের সমস্যার কথা চিন্তা যে কোন বিনিময় হোক খাল সামনের টুকু কেটে দিবানে। খাল খনন কাজে দায়িত্বে থাকা ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি নজরুল ইসলাম বলেন, খাল খনন যেটুকু বরাদ্দ হয়েছে তার সবটুকু খনন কাজ শেষ করা হয়েছে। তবে এর মধ্যে প্রায় ১১০ মিটার বাদ রয়েছে। বাধা পড়ায় খালের ১১০ মিটার কাটা সম্ভব হচ্ছে না। আড়পাড়া ইউনিয়নের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান বদরুজ্জামান বাবু বলেন, খাল যে পর্যন্ত কেটে এসেছে আর নদী সংযোগের যে টুকু বাকী আছে ওটা মালিকানা জমি। মালিক পক্ষ কোটে মামলা করেছে তাই খালকাটা আপাতত বন্ধ আছে। ঝামেলা শেষ হলে খাল কাটা শুরু হবে। এ ব্যাপারে বক্তব্য মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আবু রাসেল খাল কাটা বন্ধের ব্যাপরে অবগত আছেন বলেন দেখা যাক কি করা যায়।