বাবুল আহমেদ, মানিকগঞ্জ
মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার পূর্ব অরঙ্গবাদ এলাকায় পতিত আওয়ামী সরকারের রাজনৈতিক ক্ষমতার অপব্যবহার করা একজন প্রভাবশালী আওয়ামী লীগ নেতার পরিবারের বিরুদ্ধে জমি দখল, পরিবেশ দূষণ এবং মারধরের অভিযোগ উঠেছে। উক্ত বিষয়ে মানিকগঞ্জ সদর থানায় অভিযোগ করেছেন ভুক্তভোগী জালাল উদ্দীনের সহধর্মিণী হেলেনা আক্তার (৩৫)। অভিযুক্তরা হলেন, আলাউদ্দিন (৪০), শেখ মঞ্জু (৪২) ও ইমন হোসেন (২২)। অভিযোগে বলা হয়, গত ২৮ জুন সকাল ১১:৩০টার দিকে হেলেনা আক্তারের স্বামী ড্রেনের ময়লা পানি বন্ধ করতে গেলে অভিযুক্তরা দেশীয় অস্ত্রÑলোহার রড, এসএস পাইপ, দা-বটি নিয়ে হামলা চালায়। তারা অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং লোহার রড দিয়ে জালাল উদ্দীনকে মারধর করে, যার ফলে তার মাথা ফেটে যায় ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে রক্তাক্ত জখম হয়। অভিযোগে আরও বলা হয়, হামলার সময় অভিযুক্তরা প্রকাশ্যে হুমকি দেয়Ñ“তুই যদি আমাদের বাঁধা দিস, তোকে মেরে লাশ গুম করে ফেলব।” উল্লেখ্য, প্রধান অভিযুক্ত আলাউদ্দিন স্থানীয়ভাবে ক্ষমতাশালী এক আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে পরিচিত এবং পূর্বেও তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন হয়রানিমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগ রয়েছে। আহত জালাল উদ্দীনকে তাৎক্ষণিকভাবে মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। ভুক্তভোগীর দাবি, অভিযুক্তদের রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে তারা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। তিনি প্রশাসনের কাছে দ্রুত আইনি পদক্ষেপ গ্রহণ ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার আবেদন জানিয়েছেন। ভুক্তভোগীর স্ত্রী হেলেনা আক্তার জানান, দীর্ঘদিন ধরে তাদের কৃষিজমিতে ময়লা-আবর্জনা ও ড্রেনের নোংরা পানি ফেলে আসছিলেন প্রতিবেশী আলাউদ্দিন (৪০), শেখ মঞ্জু (৪২) ও ইমন হোসেন (২২)। বিভিন্ন সময় বিষয়টি স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি দের জানালে গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি নিষিদ্ধ করা হয়। কিন্তু বিবাদীরা তা উপেক্ষা করে আগের মতোই পরিবেশ নষ্ট করতে থাকে। তারা আমার স্বামী বিদেশ থাকার সুযোগ নিয়ে আমার বাসায় ডাকাতি করার চেষ্টা করেছে এবং আমাদের জমি দখল করেছে। হাসপাতালে ভর্তির পরে তারা আমার স্বামীর রক্ত শরিরের লাগিয়ে তারাও হাসপাতালে ভর্তি হতেয়েছে। আমাদের পাশের ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছে এখানেও আমাদের গালি গালাজ ও হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। বেতিলা মিতরা ইউপি চেয়ারম্যান আসমত আলী আমাদের বলেন বিষয়টি নিয়ে মামলা মোকদ্দমা কিছু কইরো না। আমি দেখতেছি বিষয়টা। তিনি আরোও বলেন, আসমত চেয়ারম্যানের কাছে এর আগেও জমি দখলের বিষয়ে অভিযোগ করেছিলাম। কিন্তু কোন সুরাহা পাইনি। তিনি আলাউদ্দীন ও মঞ্জুর লোক। তারা যা বলে তাই শুনে। তিনি আমাকে বলেন তোমাদের তো জমি আছে, ওদের তো কিছু নেই ওরা একটু খাক। একটু খাইলে তোমাদের কি সমস্যা। মানিকগঞ্জ সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এস এম আমান উল্লাহ বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।