কোরবানির ঈদ উপলক্ষে সিরাজগঞ্জে গবাদিপশু মোটাতাজাকরণ শুরু

রফিকুল ইসলাম,সিরাজগঞ্জঃ

কোরবানি ঈদকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জে গবাদি পশু মোটাতাজাকরণ শুরু হয়েছে। এতে অনেক বেকার নারী-পুরুষেরা স্বাবলম্বী হচ্ছে। সারাবছরই এই ব্যবস্থা চালু থাকলেও কোরবানিকে সামনে রেখে সিরাজগঞ্জের গবাদি খামারীরা এখন ব্যস্ত হয়ে পড়েছে গরু মোটাতাজাকরণে। কোরবানি ঈদে বেশি লাভের আশায় গ্রামের অনেকেই গবাদি পশু পালন করে বাড়তি টাকা আয় করে থাকেন। জেলার ৯টি উপজেলাতেই কমবেশি গবাদি পশু মোটাতাজাকরণের খামার রয়েছে। স্থায়ী খামারী ছাড়াও মৌসুমী খামারীরাও লাভের আশায় এ কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে। পুরুষের পাশাপাশি অনেক মহিলাও বাড়তি আয়ের জন্য পশু লালন পালন করছেন। দেশি জাতের পাশপাশি ভারতীয় ও নেপালী জাতের গরু পালন করছেন খামারীরা।

সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার কালিয়া গ্রামের খামারী ছানোয়ার হোসেন জানান, তিনি এ বছরই প্রথম খামার করেছেন। তিনি ২০টি ষাঁড় দিয়ে খামার শুরু করেছেন আগামী ঈদে বিক্রির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতোমধ্যেই গরুগুলো মোটাতাজা হতে শুরু করেছে। ষাঁড়গুলো ভালো দামে বিক্রি করতে পারবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেছেন। টাকায় বিক্রি করতে পারবেন বলে আশা করছেন। তিনি জানান খামারের গরুগুলিকে ভুষি ধানের কুড়া ঘাস ও খড় খাওয়ানো হয়।

এব্যাপারে জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. ওমর ফারুক  জানান, জেলায় খামার ছাড়াও ব্যক্তি পর্যায়ে অনেকেই খামার গড়ে তুলেছেন। পশু মোটাতাজা করা হচ্ছে এতে তারা লাভবান হচ্ছে। তিনি জানান এই জেলায় গবাদি পশু মোটাতাজাকরণের ক্ষেত্রে কোন প্রকার ক্ষতিকারক ঔষধ বা ইনজেকশন দেয়া হয় না তারপরও জেলা প্রাণিসম্পদ অফিস থেকেও নিয়মিত তদারকি করা হয়। তিনি আরও জানান ইতোমধ্যেই জেলায় কোরবানির খামার ও গবাদি পশুর তালিকা তৈরির কাজ শুরু করা হয়েছে। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যেই এই তালিকা জানা যাবে। খামারীদের সুবিধার জন্য রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের কৃষি উন্নয়ন শাখা খামারীদের জন্য সহজ শর্তে লোনের ব্যবস্থা করেছে বলে তিনি জানান।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *