বুরহান খান, কিশোরগঞ্জ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কিশোরগঞ্জ-৫ (নিকলী-বাজিতপুর) আসনে আলোচনায় উঠে এসেছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কর্তৃক মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী, কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরার অন্যতম সদস্য ও জেলা আমীর অধ্যাপক মো. রমজান আলী। দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক অভিজ্ঞতা ও সামাজিক নেতৃত্বের ভিত্তিতে তিনি জনগণের সামনে উন্নয়নের ভিশন উপস্থাপন করেছেন। অধ্যাপক রমজান আলী নির্বাচনী বলেন, “নিকলী-বাজিতপুরের মানুষ দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন সময়ের দাবি হয়ে দাঁড়িয়েছে। জনগণের কল্যাণে আজীবন কাজ করেছি, ইনশাআল্লাহ নির্বাচিত হলে এ আসনকে একটি মডেল আসনে রূপান্তরিত করবো।” প্রতিটি ইউনিয়নে আধুনিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা, বিদ্যালয়ের শিক্ষার মানোন্নয়ন, দরিদ্র মেধাবী শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি প্রদান এবং মেয়েদের শিক্ষায় বিশেষ প্রণোদনা দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন তিনি। স্বাস্থ্য খাতকে আধুনিকায়নের অংশ হিসেবে নিকলী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আধুনিক যন্ত্রপাতি ও পর্যাপ্ত জনবল নিশ্চিত করা এবং বাজিতপুরে বিশেষায়িত হাসপাতাল প্রতিষ্ঠার পরিকল্পনা রয়েছে তাঁর। মৎস্যসম্পদ উন্নয়ন ও জেলেদের জীবিকা রক্ষায় বিশেষ প্রকল্প। তিনি মনে করেন, কৃষি ও মৎস্য খাতে বৈপ্লবিক পরিবর্তন আনতে পারলেই হাওরাঞ্চলের মানুষের জীবনমান উন্নত হবে। নিকলী ও বাজিতপুরে সড়ক ও সেতু উন্নয়ন, প্রতিটি গ্রামে বিদ্যুৎ ও বিশুদ্ধ পানীয় জলের নিশ্চয়তা, পাশাপাশি তরুণদের জন্য কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন এবং কর্মসংস্থান সৃষ্টির প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন তিনি। অধ্যাপক রমজান আলী বলেন, “আমার লক্ষ্য হলো কর্মসংস্থানের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করা। তরুণদের দক্ষতা বৃদ্ধি হলে তারা শুধু এলাকায় নয়, দেশব্যাপী উন্নয়নের অংশীদার হবে।” স্থানীয় জনগণ মনে করছেন, শিক্ষা ও সমাজসেবায় দীর্ঘদিনের অভিজ্ঞতা, রাজনৈতিক নেতৃত্ব এবং সামাজিক কর্মকাণ্ডে সক্রিয় ভূমিকার কারণে অধ্যাপক রমজান আলী এ আসনে একটি গ্রহণযোগ্য প্রার্থী হিসেবে মাঠে রয়েছেন। অনেকে আশা করছেন, নির্বাচিত হলে নিকলী-বাজিতপুর এলাকার দীর্ঘদিনের বঞ্চনা ও অবহেলা দূর হবে।
