জামালপুর প্রতিনিধি
গত ১৩ অক্টোবর সোমবার রাতে আনুমানিক ১১ টার দিকে জামালপুর জেলার ইসলামপুর উপজেলার নোয়ারপাড়া ইউনিয়নের কাজলা গ্রামে কম দামে জমি বিক্রি না করায় প্রতিপক্ষের বাড়ীঘরে সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা চালিয়ে মোটরসাইকেল ভাংচুর বাড়ীঘরে লুটপাট ও মোটরসাইকেলসহ জমি বিক্রির নগদ ১০ লাখ টাকা ও প্রায় সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণের অলংকারসহ ছিনিয়ে নিয়ে যায় পাশের বাড়ির বাসিন্দা প্রতিপক্ষ শহিদ, বাদশা, শাহজাহান, কফিল, মেহেদী, মোরশেদুল, নবী কাজীসহ আরো অজ্ঞাত ৪০/৫০ জনের একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এ সময় হামলাকারীরা মুকুলের পরিবারের লোকজন ও আত্মীয় স্বজনদের উপর সন্ত্রাসী কায়দায় হামলা করে তাদের কে মারধোর করে এতে মুকুলের স্ত্রী বিলকিস (৪২) ও তার বড় ভাইয়ের স্ত্রী মৃত মমতাজের বিধবা স্ত্রী জেসমিন (৪৫) মারধোর করে তাদের কে আহত করে। পরের দিন ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার ভোরে একই সংঘবদ্ধ চক্রটি প্রতিপক্ষ মুকুলের ১৫ শতাংশ জমির ধান কেটে নিয়ে যায় বলে জানা গেছে, এমন অভিযোগ করেন কাজলা গ্রামের বাসিন্দা ভোক্তাভোগী মুকুলের পরিবারের লোকজন। গত ১৪ অক্টোবর মঙ্গলবার সরে জমিনে ঘুরে ও ঘটনার সূত্রে জানা গেছে কাজলা গ্রামের বাসিন্দা মুকুলের জমি বিক্রি করা হবে বলে প্রতিপক্ষ শহিদ গংরা দাম দর করে তবে শহিদ গংরা জমির দাম কম মূল্য বলায় জমি বিক্রিতা মুকুল বেশী দামে তাঁর ভাগিনার কাছে জমি বিক্রি করে দেয়। তার ভাগিনার বাড়ি পাশের গ্রামে মেলান্দহ উপজেলা চরমাহমুদপুর গ্রামের বাসিন্দা। জমি বিক্রি করায় প্রতিপক্ষ শহিদ, বাদশা, শাহজাহান, কফিল, মেহেদী, মোরশেদুল গংরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের উপর এই ধরনের হামলার ঘটনা ঘটায় বলে জানান। উপর দিকে অভিযুক্ত শহিদ, বাদশা, নবী কাজী গংরা জানান, যে, মুকুলের সাথে জমি ক্রয় নিয়ে আমাদের বিরোধের সূত্র আছে, তবে তাঁর আত্মীয় স্বজনরা আমাদের বাড়ীতে এসে হুমকি ধামকী দিলে কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে সংঘর্ষ বাঁধে এতে আমার ভাই কফিল আঘাত পায়ও আহত হয় তাঁকে আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। টাকা পয়সা, স্বর্ণ অলংকার লুটপাট করি নাই তবে রাতের বেলায় আমরা ডাক চিৎকার করি যে ডাকাত আসছে, ডাকাত আসছে এই শুনে এলাকাবাসী এসে কে বা কাহারা তাদেরকে হামলা ও মোটরসাইকেল ভাংচুর করেছে তাহা আমি জানি না তবে মুকুলের শালক মুন্জুরুল ইসলামের গাড়ী সামান্য ভেঙে গেলেও আমাদের হেফাজতে মোটরসাইকেলটি আছে। তবে বিষয় টি দুঃখজনক।
