
মাদারীপুরে চাঁদাবাজি ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর মামলায় যুবলীগ নেতা ও তার ২ সহযোগিকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (১৬ মে) দুপুরে মাদারীপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক কে এম আলমগীর হোসেন এ আদেশ দেন। কারাগারে প্রেরিত আসামীরা হলেন, মাদারীপুর সদর উপজেলার পৌর পেয়ারপুরের মৃত আব্দুর রব তালুকদারের ছেলে ও জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক সুমন তালুকদার (৪২), একই এলাকার মৃত মোস্তফা বেপারীর ছেলে সালমান রেজা ওরফে সাদ্দাম বেপারী (২৯) ও পেয়ারপুরের মৃত রহমান তালুকদারের ছেলে শফিউল আলম ওরফে লিটন তালুকদার (৪৩)। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, বেশকিছুদিন ধরে দৈনিক সকালের সময় পত্রিকার মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধি ও সাংবাদিক সংগঠন মৈত্রী মিডিয়া সেন্টারের সাধারণ সম্পাদক এস এম আরাফাত হাসানের সাথে জেলা যুবলীগের সহ-সম্পাদক সুমন তালুকদারের বিরোধ চলে আসছিলো। গত ৭ এপ্রিল বিকেলে নতুন শহর এলাকায় অবস্থিত মৈত্রী মিডিয়া সেন্টারের ভেতর প্রবেশ করে সুমন তালুকদার ও সহযোগিরা। এ সময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আরাফাতের নিকট ২ লাখ টাকা চাঁদা দাবী করেন তারা। দাবিকৃত চাঁদার টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে হত্যার হুমকি ও ভয়ভীতি দেখায় সুমন ও তার সহযোগিরা। পরে সেখান থেকে চলে গিয়ে মাদারীপুর ক্রাইম ফেসবুক পেজ ও মাদারীপুর ক্রাইম ফেসবুক আইডির মাধ্যমে আরাফাত হাসানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ধরনের মানহানিকর ও বিভ্রান্তিকর তথ্য বিভিন্ন মাধ্যমে ছড়িয়ে দেয়। এ ঘটনায় সোমবার (১৫ মে) আরাফাত হাসান বাদী হয়ে সুমন তালুকদার ও তার দুই সহযোগি শফিউল আলম ওরফে লিটন তালুকদার এবং সালমান রেজা ওরফে সাদ্দাম বেপারীকে আসামী করে সদর থানায় একটি চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন ধারায় মামলা দায়ের করেন। এছাড়াও মামলার অজ্ঞাত ১৫ থেকে ২০ জনকে আসামী করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে এজাহারনামীয় আসামীরা আদালতে হাজির হয়ে জামিনের আবেদন করেন। পরে বিচারক বাদী ও আসামীপক্ষের আইনজীবির মাধ্যমে শুনানী শেষে তিনজনকেই কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। পাশাপাশি এই ঘটনার সাথে জড়িত বাকিদের ধরতেও আইনশৃঙ্খলাবাহিনীকে নির্দেশ দেন আদালত। মাদারীপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনোয়ার হোসেন চৌধুরী জানান, সাংবাদিক আরাফাত হাসানের মামলায় বাকি অজ্ঞাত আসামীদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় আনা হবে। এছাড়া জেলহাজতে পাঠানো আসামীদের প্রয়োজনে রিমান্ডে এনে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে ঘটনার আসল রহস্য ও তথ্য বের করা হবে। এ বিষয়ে মাদারীপুর জেলা যুবলীগের সভাপতি আতাহার সরদার বলেন, মামলায় কারাগারে পাঠানোর খবর পেয়েছি। অভিযুক্ত সুমন তালুকদারের সাজা হলে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।