আবহাওয়া অনুকুলে থাকায় এবছর মেহেরপুরে আমের বাম্পার ফলন হয়েছে। গাছে গাছে দোল খাচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির আম। ফলন বেশি হওয়ায় দাম নিয়ে শঙ্কা । মেহেরপুরে আমের সুনাম দেশের গন্ডি ছাড়িয়ে বিদেশেও চাহিদা রয়েছে প্রচুর। কৃষকের অভিযোগ বিমানবন্দরের আইনি জটিলতায় বিদেশে রপ্তানিতে আগ্রহ হারিয়েছে কৃষকরা। কৃষি অধিদপ্তরের দাবী উত্তম কৃষি চর্চার নিয়ম মানা হয়না বলে আগ্রহ হারিয়েছে বিদেশি ক্রেতারা। মেহেরপুরে উৎপাদিত আমের মধ্যে হিমসাগর , বোম্বাই , ল্যাংড়া ও ফজলি প্রজাতির আম স্বাদে গুনে বিখ্যাত। আবহাওয়াগত কারণে আগাম আমগাছে মুকুল ধরে মেহেরপুরে। এছাড়া পরিপক্ক হওয়ার পর সারাদেশের মধ্যে প্রথম বাজারে আসে মেহেরপুরের আম। আমে ভালো ফলন ও দাম পাওয়ার কারনে বাণিজ্যিক ভাবে আম চাষ দিন দিন বাড়ছে । এ বছর ২ হাজার ৩৪০ হেক্টর জমির আম বাগান থেকে ৪০ হাজার টন আম উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে জেলা কৃষি বিভাগের। গাছ থেকে পরিপক্ক আম ভাঙার সরকারিভাবে দিনক্ষণ নির্ধারণ করেছে প্রশাসন। গত ১৫ মে থেকে স্থানীয় জাতের আটি আম ও বেম্বাই, ১৮ মে গোপালভোগ, ২৫ মে থেকে হিমসাগর, ২৮ মে থেকে ল্যাংড়া ও ৫ জুন থেকে আম্রপালি আম গাছ থেকে সংগ্রহের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। নির্ধারিত তারিখের পূর্বে গাছ থেকে আম সংগ্রহ করলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আজিজুল ইসলাম। রাধাকান্তপুরের আম চাষি শাহনেওয়াজ সোহান বলেন এ বছর আমের গুটি আসার পর কয়েকদিন বৃষ্টি হওয়ায় আমের ফলন ভালো হয়েছে । যদি কোন প্রাকিতিক দূর্যোগ না হয় তাহলে আমের বাম্পার ফলন হবে । তবে বিদেশে আম রপ্তানি করতে পারলে দামটা ভালো পাওয়া যেত । আম ব্যাবসায়ী হেলু বলেন ,আমরা আড়ৎ দিয়ে সরকারি নির্দেশনা মেনে ব্যাবসা করি । কিন্তু কতিপয় অসাধু ব্যাবসায়ী প্রশাসনের নির্ধারণ করা সময়ের আগে আম ঢাকাসহ দেশের অন্যান্য জেলাতে পাঠাচ্ছে । এতে মেহেরপুরের আমের মান ক্ষুন্ন হচ্ছে । সঠিক সময়ে আমরা পর্যাপ্ত আম পাচ্ছিনা। মেহেরপুর জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক কৃষিবিদ শঙ্কর কুমার মজুমদার জানান, এখানকার মাটির গুণেই আম খুবই সুস্বাদু। উত্তম কৃষি চর্চায় সার বিষের সঠিক প্রয়োগ সহ ১২২টা নিয়ম আছে । মেহেরপুরের কৃষকরা বেশিরভাগ নিয়ম মানেনা সেকারনে মেহেরপুরের আমের প্রতি আগ্রহ হারিয়েছে বিদেশি ক্রেতারা ।