নীলফামারীর পল্লীতে শত্রুতা করে একটি পুকুরের লক্ষাধিক টাকার পোনা মাছের ক্ষতি করে মিথ্যাভাবে মামলার হুমকি দিয়ে আসছে। ঘটনাটি ঘটেছে নীলফামারী সদরের সোনারায় ইউনিয়নের দারোয়ানী ধনীপাড়া গ্রামের মৃত মাহাবুব আলী শাহ এর ছেলে মাহমুদুল হাসান সোহাগের পুকুরের। জানা যায়, নীলফামারী সদর উপজেলার সোনারায় ইউনিয়নের দারোয়ানী ধনিপাড়া গ্রামের মৃত মাহাবুব আলী শাহ এর ছেলে মাহমুদুল হাসান সোহাগেরা প্রায় ২৮ শতক জমির পুকুরে রেনু থেকে পোনা মাছ উৎপাদন করে এজন্য স্থানীদের পুকুরে হাঁস না পরার জন্য সাবধান করে দেয় কিন্তু বার বার সে বাধা না মেনে স্থানীয় শত্রুতায় কোণা হাজরার ছেলে মোহন হাজরা (২৭) এর প্রায় ২০টি হাঁস পুকুরের পোনা মাছ খেয়ে ফেলে এতে প্রায় এক লক্ষাধিক টাকার ক্ষতি হয়। পরে পুকুর মালিক সোহাগ পোনা মাছের ক্ষতির বিষয়টি মোহনের বাড়িতে গিয়ে জানতে চাইলে উল্টো মোহন ও তার মা মুক্তি রানী তাকে অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজ এবং ধাক্কাধাক্কি করে মোহন ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। এ বিষয়ে স্থানীয় চেয়ারম্যান এর নিকট নালিশ দিলে চেয়ারম্যান উভয় পক্ষকে বৈঠকে ডাক দেয় কিন্তু বৈঠকে মোহন হাজরা হাজির হয় না। হঠাৎ এক মাসপর মোহন বাড়িতে এলে সোহাগের চাচা হবিবর রহমান মিমাংসার জন্য মোহনকে ডাক দিয়ে নিয়ে আসলে মোহনের মা মুক্তি রানী ও বড় ভাই চন্দন হাজরা ঘটনাস্থলে এসে টানাটানি করে মোহনকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ৯৯৯ ফোন দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসে। পরে প্রতিবেশীরা জানায়, মোহনকে তার পরিবারের লোকজন বাড়িতে ব্লেড দিয়ে মাথা চিরে হাসপাতালে ভর্তি করায়। ঘটনার প্রতক্ষদর্শী প্রতিবেশীরা আরো জানায়, এই ঘটনায় মোহন ও তার মা মুক্তি রানী এবং তাদের পরিবারের কাউকেই মারধরের কোন ঘটনা ঘটেনি।ঘটনার সময় ৯৯৯ কল পেয়ে পুলিশ এসে ঘটনাটি মিটমাট করে দেয়। এ বিষয়ে সোহাগের চাচা হবিবর রহমান বলেন, দীর্ঘ এক মাস পর মোহন বাড়ি আসলে আমি মিমাংসার জন্য তাকে ডেকে নিয়ে আসি কিন্তু উল্টো মোহনের মা ও ভাই টানাটানি করে তাকে বাড়িতে নিয়ে যেয়ে নিজেরা ব্লেড দিয়ে মাথা চিরে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে মিথ্যা মামলার হুমকি দিচ্ছে। তিনি আরো জানান, ঘটনার সময় সোহাগের ফুফুকে কোণা হাজেরার পরিবার আহত করলে তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।