ভাটা শুরু হওয়ায় জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা নেই বলে জানিয়েছেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ড. এনামুর রহমান। সচিবালয়ে দুপুরে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের এ কথা জানান প্রতিমন্ত্রী। তিনি জানান, ঘূর্ণিঝড় মোখা আজ রবিবার বিকেল ৩টার মধ্যে বাংলাদেশের উপকূল অতিক্রম করবে। এর অগ্রভাগ সকাল ৬টা থেকে কক্সবাজার, টেকনাফ, সেন্টমার্টিন ও মিয়ানমারের সিটুয়ে উপকূল অতিক্রম শুরু করে। এখন ঝড়ের গতিবেগ ঘণ্টায় ৫০ থেকে ৬৮ কিলোমিটার। সকাল থেকে ভাটা শুরু হয়েছে। তাই জলোচ্ছ্বাসের আশঙ্কা নেই। প্রতিমন্ত্রী বলেন, ঝড়টি এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের উপকূল অতিক্রম করছে। তবে কেন্দ্রের ৭৮ কিলোমিটারের মধ্যে ঝড়ের গতিবেগ এখনো ২০০ থেকে ২১৫ কিলোমিটার। এ গতিবেগে কেন্দ্রটি উপকূল অতিক্রম করলে কিছুটা ক্ষয়ক্ষতি হবে। এর আগে আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক মোহাম্মদ আজিজুর রহমান জানিয়েছিলেন, ঘূর্ণিঝড়ের মূল ঝুঁকিটা চলে যাবে মিয়ানমার অঞ্চল দিয়ে। টেকনাফ, কক্সবাজারসহ বাংলাদেশের অঞ্চলগুলো ঝুঁকিমুক্ত হতে চলেছে। এর ফলে শুরু থেকে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে আমাদের যে ঝুঁকির আশঙ্কা ছিল, এখন আর ততটা ঝুঁকি নেই। তিনি বলেন, ঘূর্ণিঝড় মোখার পিক আওয়ার হবে দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা। এ সময়ে দ্রুত বেগে জলোচ্ছ্বাস প্রবাহিত হবে। তখন ঘণ্টায় ১২০-১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত ঝোড়ো হাওয়া হতে পারে। আবহাওয়া অধিদপ্তরের পরিচালক বলেন, বিকেল নাগাদ ঘূর্ণিঝড় মোখা আমাদের অতিক্রম করে গেলেও এর প্রভাব থেকে যাবে আরও দুই থেকে তিন ঘণ্টা পর্যন্ত। আর সবচেয়ে বেশি প্রভাব পরিলক্ষিত হবে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিন দ্বীপে। আমরা আশঙ্কা করছি, জলোচ্ছ্বাসের মাত্রা যদি ৮ থেকে ১২ ফুট পর্যন্ত হয়, তাহলে টেকনাফ ও সেন্টমার্টিনে অস্থায়ীভাবে পানির জলাবদ্ধতা থাকবে। যদিও পর্যায়ক্রমে তা কেটে যাবে।