ঘূর্ণিঝড় মোখা আতঙ্কে রয়েছে নোয়াখালীর উপকূলীয় এলাকার বাসিন্ধারা। এদিকে আবহাওয়া ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেতের পর শনিবার বিকাল থেকে বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার সঙ্গে সারাদেশের নৌযোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ভাসানচরে প্রায় ৩০ হাজার রোহিঙ্গাকেও সুরক্ষার আওতায় আনতে প্রদক্ষেপ গ্রহন করা হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা উপকূলের নিকটবর্তী হওয়ায় সাগরের পানি বাড়তে শুরু করেছে। মোখা মোকাবিলায় জেলার প্রায় সাড়ে তিনশ আশ্রয়ণকেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এছাড়া শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মজুত রাখার হয়েছে। রেডক্রিসেন্ট সোসাইটির নোয়াখালী ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শহিন জানান, মানুষের জানমালের নিরাপত্তায় স্থানীয় প্রশাসনের পাশাপাশি রেডক্রিসেন্টের পক্ষ থেকে ব্যাপক প্রচারনা চালানো হচ্ছে। তবে অনেক জেলে নৌকা ও ট্রলার নিয়ে এখনো কূলে ফিরতে পারেনি বলে জানিয়েছে তাদের স্বজনরা। বেঁড়িবাধ না থাকায় আতঙ্কের মধ্যে রয়েছে উপকূলের বাসিন্ধারা। নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রমহান জানান, ঘুর্নিঝড় মোখা মোকাবেলায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে আমরা সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছি। উপজেলা প্রশাসনের সাথে সার্বিক যোগযোগ অব্যাহত রয়েছে।