কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম করে ঘূর্ণিঝড় মোকা এখন মিয়ানমানের স্থলভাগে অবস্থান করছে। তবে উত্তর-পূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে সামান্য দুর্বল হয়েছে মোকা। সন্ধ্যার দিকে এটি সম্পূর্ণ উপকূল অতিক্রম সমাপ্ত এবং আস্তে আস্তে দুর্বল হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
রবিবার (১৪ মে) আবহাওয়া অধিদপ্তরের ২১ নম্বর বিশেষ বুলেটিনে জানানো হয়েছে এসব তথ্য।
এতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় মোকা উত্তর-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও সামান্য দুর্বল হয়েছে। ঘূর্ণিঝড়টির কেন্দ্র আজ বেলা ৩টায় মিয়ানমারের সিটুয়ের নিকট দিয়ে কক্সবাজার-উত্তর মিয়ানমার উপকূল অতিক্রম করে দেশটির স্থলভাগের ওপর অবস্থান করছে।
ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে উত্তর-পূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার, যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ১৩০ কিলোমিটার পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। সম্পূর্ণ ঘূর্ণিঝড়টি রবিবার সন্ধ্যা নাগাদ উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
কক্সবাজার ও দেশের সমুন্দ্রবন্দরগুলোতে পূর্বের বিপৎসংকেত বহাল রাখা হয়েছে সর্বশেষ বুলেটিনেও।
ঘূর্ণিঝড় মোকার প্রভাবে প্রচণ্ড ঝড়ের সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি হয়েছে কক্সবাজারের টেকনাফের সেন্ট মার্টিন দ্বীপে। ঝড়ে দ্বীপের অধিকাংশ ঘরবাড়ি, হোটেল ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ ছাড়া প্রচুর গাছপালা ও বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে।