ধেঁয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় মোখা। এর প্রভাবে উপকূলীয় পটুয়াখালীর কলাপাড়য় গুমোট আবহাওয়া বিরাজ করছে। আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে সাগর পাড়ের মানুষ। শনিবার সকাল থেকেই আকাশ মেঘাচ্ছন্ন রয়েছে। বাতাসের চাপ কিছুটা বৃদ্ধি পেয়েছে। নদ-নদীর পানির উচ্চতা দেড় থেকে দুই ফুট বৃদ্ধি পেয়েছে। এছাড়া কুয়াকাটা সংলগ্ন বঙ্গোপসাগর বেশ উত্তাল রয়েছে। গভীর সমুদ্রে জেলেরা মাছ ধরা বন্ধ করে সকল ট্রলার মৎস্য বন্দর মহিপুর আলীপার আড়ৎ ঘাট সহ বিভিন্ন পয়েন্টে নিরাপদ আশ্রয়ে নিয়েছে।
এদিকে কয়েকদিন ধরে ঘূর্ণিঝড় মোখা নিয়ে মানুষের দৃষ্টি ফেইসবুক কিংবা বিভিন্ন গণমাধ্যমে থাকলেও শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে পায়রা সমুদ্র বন্দরে ৮ নম্বর মহাবিপদ সংকেত ঘোষণা করায় মানুষের মধ্যে আতংক ছড়িয়ে পড়েছে। এর ফলে পৌরশহর সহ উপজেলার বিভিন্ন বাজারগুলোতে হঠাৎ করে মানুষের ভিড় লক্ষ্য করা গেছে।
মানুষ সাধ্যমত কেউ এক সপ্তাহ কিংবা তিন দিনের শুকনা খাবার, গ্যাসলাইট, আলু, ডাল কিনে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছে। নদী সংলগ্ন বাসা-বাড়ী কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালিকদেরও দেখা গেছে ব্যস্ততম সময় কাটাতে। তাদের অধিকাংশের ভয় জলোচ্ছ্বাস নিয়ে।
অপরদিকে বসতবাড়ির মানুষজন তাদের আসবাবপত্র অপেক্ষাকৃত উচু স্থানে নিতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছেন। ঘূর্ণিঝড় মোখা’র শঙ্কায় রীতিমতো দুশ্চিন্তায় উপকূলীয় কৃষকরা। এমন পরিস্থিতিতে পাকা বোরো ধান ছাড়াও রবিশস্যসহ সংগ্রহ উপযোগী ফসল দ্রুত কাটা এবং আউশের চাষ ও আউশের বীজতলা রক্ষায় পরামর্শ দিয়েছে স্থানীয় কৃষি বিভাগ।
ঘূর্ণিঝড় মোখা মোকাবেলায় উপজেলা প্রশাসন ১৭৫ টি সাইক্লোন শেল্টারসহ ১৯টি মুজিব কিল্লা নিরাপদ আশ্রয়ের ব্যবস্থা করে রেখেছেন। এছাড়া শুকনা খাবার এবং মেডিকেল টিম প্রস্তত রেখেছে।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা মো.জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, জন সাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে ১৭৫ টি সাইক্লোন শেল্টার এবং ১৯ টি মুজিব কিল্লা রেডি রাখা হয়েছে। এছাড়া শুকনা খাবার এবং বিশুদ্ধ পানির ব্যবস্থাসহ মেডিকেল টিম সক্রিয় থাকবেন বলে তিনি সাংবাদিকদের জানান।