জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাব মোকাবিলায় গণসচেতনতা নিশ্চিতের দাবি নিয়ে সিরাজগঞ্জে ক্লাইমেট স্ট্রাইক করেছে ইকো ভলান্টিয়ার্সের সদস্যরা। বৃহস্থúতিবার (১১ মে) সকাল ১০টায় সিরাজগঞ্জ বাজার স্টেশন এলাকায় ক্লাইমেট স্ট্রাইক পালন করা হয়। ইকো ভলান্টিয়ার্সের সদস্যদের পাশাপাশি কর্মসূচিটিতে অংশ নেয় বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। এসময় তাদেরকে জলবায়ু ও পরিবেশ নিয়ে বিভিন্ন সচেতনতামূলক ‘সেইভ ক্লাইমেট’ লেখা প্ল্যাকার্ড দেখা যায়। কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া সিরাজগঞ্জ সরকারি কলেজের একজন শিক্ষার্থী জানান, বৈশ্বিক তাপমাত্রা কমিয়ে আনতে সকলের উচিত এগিয়ে আসা। এই সুযোগ বিনষ্ট করা হলে মানবজাতি ধ্বংসের শেষ প্রান্তে পৌঁছাবে। বিশ্বকে জলবায়ু অভিবাসীদের দায়িত্ব ভাগ করে নিতে হবে এবং জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য সৃষ্ট ক্ষতিকারক বিষয়গুলো মোকাবেলা করতে হবে। বৈশ্বিক উষ্ণতার ক্ষতি তালিকায় থাকা দেশগুলোর মধ্যে অন্যতম বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে প্রতিনিয়ত ক্ষতিগ্রস্থÍ হচ্ছে বিশ্বের প্রাকৃতিক ঐতিহ্যের একটি অংশ সুন্দরবন। বিভিন্ন পথযাত্রীরা এই স্ট্রাইক সম্পর্কে জানতে আসলে ইকো ভলেন্টিয়াসের সদস্যরা বর্তমানে পরিবেশের ওপর যে জলবায়ুর বিরূপ প্রভাব চলছে সেই সম্পর্কে জানায় এবং সবাইকে পরিবেশ দূষণ, জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ রক্ষার জন্য সচেতন হতে অনুরোধ জানায়। এই ক্লাইমেট স্ট্রাইক মানুষের মনে রকম প্রভাব ফেলবে বলে আশাবাদ করা যায়। উল্লেখ্য, ক্লাইমেট স্টাইক বা জলবায়ু আন্দোলনের জন্য যুব ধর্মঘট শুরু হয়েছিল ২০১৮ সালে, যখন গ্রেটা থুনবার্গ তিন সপ্তাহ ধরে তার স্থ‹ুলের দিনগুলিকে সুইডিশ পার্লামেন্টের বাইরে বসে থাকত। তার এই কর্মকাণ্ডের উদ্দেশ্য ছিল জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে এবং সরকারের কার্যকারী পদক্ষেপের দাবিতে। এরপর সুইডিশ পার্লামেন্ট জলবায়ু পরিবর্তন সংক্রান্ত তাদের নীতি পরিবর্তন করে। এরপর প্রতিবছর বিভিন্ন সময়ে ছাত্র ও প্রাপ্তবয়স্থ‹রা সারা পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সরকার ও গণসচেতনতা তৈরিতে এই ক্লাইমেট স্ট্রাইক করে আসছে। এর ধারাবাহিকতায় সিরাজগঞ্জের তরুণেরাও ক্লাইমেট স্ট্রাইক পালন করে। যা বাংলাদেশ সহ বিশ্ব জলবায়ু পরিবর্তন রোধে সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ ও জনসচেতনা সৃষ্টি করবে।