বিশ্ব দরবারে প্রশংসিত আমাদের মাতৃত্যু নেত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহসী নেতৃত্বের ফসল দেশের সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিতে এবং বর্তমান সরকারের বাস্তবায়নাধীন উন্নয়ন কর্মকান্ড অব্যাহত রাখতে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে পুনরায় নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহব্বান জানিয়েছেন নোয়াখালী-৪ (সদর-সুবর্ণচর) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশী এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন। বৃহস্পতিবার জেলার সুবর্ণচর উপজেলার চরবাটা এবং পূর্ব চরবাটা ইউনিয়নে গণসংযোগ ও পথসভায় তিনি এসব কথা বলেন। এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিন জাতীয় নেতা আবদুল মালেক উকিলের ভাতুষ্পুত্র, জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক দুইবারের চেয়ারম্যান ছিলেন। ছাত্রলীগের রাজনীতি থেকে বেড়ে ওঠা শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান দেশ স্বাধীন করার পর একেবারে যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিকে সোনার বাংলায় প্রতিষ্ঠা করার মিশন শুরু করেন। কিন্ত ৭৫ এর ১৫ আগষ্ট জাতির পিতাকে স্বপরিবারে হত্যার মধ্যদিয়ে ঘাতকরা দেশের অগ্রযাত্রা থামিয়ে দেয়। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর পদ্মাসেতু, মেট্রোরেল, কর্ণফুলী টানেলসহ দেশের ইতিহাসে সর্ববৃহৎ কর্মযজ্ঞগুলো ধারাবাহিকভাবে শেষ করে জাতির পিতার সেই স্বপ্নের সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠায় নিরলস কাজ করছেন সাহসী নেতৃত্বের প্রতীক জননেত্রী শেখ হাসিনা। শাহিন বলেন, ২০২৪ সালের জানুয়ারির দিকে আগামী দ্বাদস জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সেই নির্বাচনে আমি আমার মাতৃতুল্য নেত্রী শেখ হাসিনা এবং নোয়াখালীর ঠিকানা আমাদের অভিভাবক ওবায়দুল কাদেরের কাছে নোয়াখালী-৪ আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন চাইব। আমাকে যদি দলীয় মনোনয়ন দেয়া হয়, তাহলে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে এই আসনে বিপুল ভোটে নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত হবে। আর যদি কোন কারণে আমাকে মনোনয়ন না দিয়ে অন্য কাউকে মনোনয়ন দেয়া হয়, তাহলেও আমি দলের পক্ষে কাজ করবো। আমাদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকবে, কিন্তু সেই প্রতিযোগিতা যেন প্রতিহিংসায় রুপ না নেয়। দল যাকেই মনোনয়ন দেয়, আপনাদের কাছে অনুরোধ দেশের চলমান উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে ধরে রাখতে আগামী নির্বাচনেও আপনারা নৌকা মার্কায় ভোট দিয়ে আওয়ামী লীগকে জয়যুক্ত করুন। এ সময় শেখ হাসিনার নৌকায় ভোট দিতে জনগণের ওয়াদা চাইলে জনতা দুই হাত তুলে উচ্চকণ্ঠে সমর্থন ব্যক্ত করেন। বর্তমান সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর কঠোর সমালোচনা করে শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, নোয়াখালী-৪ আসনে এখন যিনি এমপি, তিনি আমাদের দলের সাইনবোর্ডে এমপি হয়ে বিএনপি-জামায়াতের লোকদের দলে অনুপ্রবেশের সুযোগ করে দিয়েছেন। অনুপ্রবেশকারীদের দিয়ে নিজস্ব বলয় তৈরী করে তাদেরকে অর্থে-বিত্তের মালিক করেছেন। অপরদিকে দলের ত্যাগী নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন করেছেন। দুর্নীতি-অনিয়ম, চাকুরি বাণিজ্য, টেন্ডার বাণিজ্য তার নিত্যদিনের ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। তিনি এখানে সদর-সুবর্ণচরের মানুষকে বঞ্চিত করে বাহিরের লোকজনকে অনিয়ম ও মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে চাকুরি থেকে শুরু করে অনেক বড় বড় সুযোগ-সুবিধা দিয়েছেন। শিহাব উদ্দিন শাহিন বলেন, ২০০১ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একরামুল করিম চৌধুরী আমাদের প্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদের সাহেবের বিরুদ্ধে ঘড়ি মার্কা নিয়ে স্বতন্ত্র ভোট করেছেন। ওই নির্বাচনে তার কারণে নৌকা মার্কার পরাজয় হয়। বর্তমানে তিনি আওয়ামী লীগের এমপি হয়েও ২০২২ সালের ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দলীয় প্রার্থীর বিরুদ্ধে গিয়ে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট করেছেন। শুধু তাই নয়, একরামুল করিম চৌধুরী আমাদের নেত্রী শেখ হাসিনা ও প্রিয় নেতা ওবায়দুল কাদেরকে পিছ কাটিয়ে নিজে ৩০০ আসনের মধ্যে সবচে জনপ্রিয় এমপি দাবি করেছেন। তাঁর এসব অপরাজনীতির কারণে আজকে দলীয় নেতাকর্মীরা তার বিরুদ্ধে ফুঁষে ওঠেছে। তারা এই আসনে বহিরাগত ব্যক্তির পরিবর্তন চেয়ে সদর-সুবর্ণচরের স্থানীয় নেতৃত্ব থেকে মনোনয়ন দাবি করছেন। গণসংযোগকালে এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনের সঙ্গে সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুস জাহের, সুবর্ণচর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ফরহাদ হোসেন বাহার চৌধুরী, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা জাকিউল ইসলাম দুলাল, মিজানুর রহমান শিপন, সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামী লীগ নেতা ইকবাল মাহমুদ সোহেল, গিয়াস উদ্দিন, শ্রমিক নেতা তারেক আজিজ, উপজেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম আহবায়ক কাঞ্চন মজুমদার, আওয়ামী লীগ নেতা আবুল বাশার মেম্বারসহ বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতৃবৃন্দসহ কয়েক হাজার দলীয় নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।