বৌদ্ধ পূর্নিমাসহ সরকারী ৩ দিনের ছুটিকে কেন্দ্র করে পটুয়াখালীর কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে ভীড় জমিয়েছে হাজারো পর্যটক। বুধবার বিকালে থেকেই কুয়াকাটায় এসকল পর্যটকের আগমন ঘটে। ঈদের ছুটিতে আশানুরুপ পর্যটক না অসলেও বর্তমানে পর্যটকদের পদচারনায় মুখর সকল পর্যটন স্পট। বুকিং রয়েছে হোটেল মোটেলের আশি ভাগ কক্ষ। বিক্রি বেড়েছে পর্যটন সংশ্লিষ্ট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে। আগত পর্যটকরা সমুদ্রে ঢেউয়ের সঙ্গে মিতালীতে মেতেছেন। অনেকেই ঘুরছেন ওয়াটার বাইক, মোটরসাইকেল কিংবা ঘোড়ায়। অনেকে আবার সৈকতের বেঞ্চিতে বসে সমুদ্রে তীরে আছড়ে পড়া ঢেউ উপভোগ করছেন। আগতদের নিরাপত্তায় ট্যুরিষ্ট পুলিশের তৎপরতা লক্ষ করা গেছে।
পর্যটন স্পট ঝাউবন,গঙ্গামতি,লেবুরবন,মিস্রীপাড়া, কুয়াকাটা বৌদ্ধ মন্দির, কয়াটার কুয়া, শুটকি পল্লী, রাখাইন মার্কেটসহ সুন্দর বনের অংশ বিশেষ(ইকোপার্ক) ফাতরার বন,পায়রা বন্দরেও পর্যটকের উবছে পড়া ভীড় দেখা গেছে। স্প্রীড বোর্ড ব্যবসায়ী বিল্লাল খলিফা জানান, তিন দিনের ছুটির কারনে আমরা প্যটন ব্যবসায়ীরা আরেকটা ঈদ পেলাম। ঈদের চেয়ের আজকে পর্যটকের চাপ অনেক বেশী। বেঞ্চব্যবসায়ী ইদ্রিস জানান,গেল সপ্তাহের চেয়ে আজকে পর্যটক প্রচুর বাড়ছে, একদিকে পদ্মা সেতু আরেকদিকে তিন দিনের ছুটি।হোটেল মোটেল অউনার এসোসিয়েশন সাধারণত সম্পাদক মোঃ মোতালেব শরীফ জানান, আগামী তিন দিনের জন্য হোটেল গুলোর প্রায় রুমই বুক হয়েগেছে। আমরা হোটেল কতৃপক্ষ পর্যটকদের নিরাপত্তা জোরদার করেছি। মেয়র আনোয়ার হাওলাদার বলেন, প্রচুর পর্যটক এসেছে, এটা পদ্মা সেতুর সুফল, তারসাথে তিন দিনের ছুটি। ভাঙ্গা থেকে কুয়াকাটা পর্যন্ত ফোরলেনের সড়কের কাজ হয়ে গেলে সারা বছরই এ রকম পর্যটক থাকবে।আমরা পৌর কতৃপক্ষ পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছি। কলাপাড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ জাহাঙ্গীর হোসেনের বলেন, টুরিস্ট পুলিশ সার্বক্ষণিক পর্যটকের সেবায় নিয়োজিত আছে, তারসাথে মহিপুর থানা পুলিশ, কুয়াকাটা নৌ-পুলিশ ওবিচম্যানেজমেন্ট কমিটিও পর্যটকদের নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও তাদের সেবায় নিয়োজিত রয়েছে।