গত চার মাস আগে ভিজিডির একটি কার্ড বরাদ্দ পান খুশিলা বেগম নামে এক দরিদ্র নারী। কার্ড পাওয়ার পর প্রতিমাসে বস্তা হাতে নিয়ে পরিষদে এসে খালি হাতে ফিরে যেতে হয় তাকে। একমাসেও চাল পাননি তিনি। কে বা কারা তার কার্ডের চাল উত্তোলন করে নিয়ে যায় তাও বলতে পারেন না সংশ্লিষ্ট ইউপি চেয়ারম্যান। ঘটনাটি ফরিদপুরের সালথা উপজেলার বল্লভদী ইউনিয়নে ঘটেছে। বিষয়টি ভুক্তভোগী নারী পরিষদে গিয়ে চেয়ারম্যানকে অবগত করেও কোনো প্রতিকার পায়নি বলে অভিযোগ। খুশিলা বেগম বল্লভদী ইউনিয়নের দেওয়ালীকান্দা গ্রামের হতদরিদ্র কৃষক মিলন মোল্যার স্ত্রী। ভুক্তভোগী খুশিলা বেগম অভিযোগ করে বলেন, দেওয়ালীকান্দা গ্রামের ওবায়দুর মোল্যার ছেলে মো. নাজমুল মোল্যা আমার ছবি ও ভোটার আইডি কার্ডের ফটোকপি নেয়। পরে চেয়ারম্যানের লোক হিসেবে পরিচিত নাজমুল আমাকে জানায়, আমার নামে কার্ড বরাদ্দ হয়নি। তবে আমি গোপনে খোঁজ-খবর নিয়ে জানতে পারি, আমার নামে কার্ড হয়েছে। ঘটনার পর চেয়ারম্যান-মেম্বারদের কাছে বারবার গিয়েও এখন পর্যন্ত আমি চাল পাইনি। আমার নামে বরাদ্দকৃত চাল চাইলে, চেয়ারম্যান আমার কার্ড বাতিল করার হুমকি দেয়। ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বল্লভদী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান খন্দকার সাইফুর রহমান শাহিন বলেন, খুশিলা বেগমের নামে বরাদ্দকৃত ভিজিডি চাল বোরকা পড়ে এসে কে বা কারা উত্তোলন করে নিয়ে যায়, তা ধরতে পারি না। এই মাসেও গোপনে বোরকা পড়ে এসে চাল নিয়ে গেছে। তবে আগামী মাসে তাকে ধরে কার্ডটি হেফাজতে নিয়ে খুশিলা বেগমের কাছে হস্তান্তর করা হবে। সালথা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ও সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. সালাউদ্দিন আইয়ুবী বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। তবে ভূক্তভোগী মহিলা অভিযোগ দিলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।