গাজীপুরের শ্রীপুরে চোর সন্দেহে গণপিটুনিতে সুলতান ডাকাত (৫০) নামের এক ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। বুধবার (৩ এপ্রিল) রাতে উপজেলার গোসিঙ্গা ইউনিয়নের বেড়াবাড়ি গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সুলতান জেলার কাপাসিয়া উপজেলার সূর্য নারায়নপুর বিলপাড়া গ্রামের মৃত হাসু মুন্সির ছেলে। এ সময় চোর দলের হামলায় দানেস (৩০), সোহেল (২৫) ও মোশারফ (৪০) নামে তিন ভাই আহত হয়েছেন। আহত মোশারফ বলেন, আমরা তিন ভাই এক ভিটায় বসবাস করি। আমি কৃষি কাজের পাশাপাশি অটোরিকশা চালাই। বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে ৪/৫ জন দুর্বৃত্ত আমাদের বাড়িতে হানা দেয়। এ সময় তারা বাড়ির উঠানে থাকা অটোরিকশা চুরি করার সময় আমার ভাতিজা টের পায়। পরে আমার ভাই দানেস ঘরের বাইরে এলে চোরের দল তার ওপর হামলা চালায়। এ সময় দানেসের চিৎকারে আমি ও আমার আরেক ভাই সোহেল ঘরের বাইরে এলে চোরের দল আমাদের ওপরও হামলা করে এবং দৌড়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। বাকিরা দৌড়ে পালিয়ে গেলেও সুলতানকে পাশের ধানখেত থেকে ধরে এনে বাড়ির পাশে একটি গাছের সঙ্গে বেঁধে রাখা হয়। পরে স্থানীয়রা সুলতানকে গণপিটুনিতে দিলে তিনি গুরুতর আহত হন। আজ সকাল ৮টার দিকে তার মৃত্যু হয়। সুলতান ডাকাত গণপিটুনিতে নিহত হয়েছে এমন খবরে কাপাসিয়া থেকে ঘটনাস্থলে এসেছেন মোবারক হোসেন। তিনি বলেন, কাপাসিয়াসহ আশপাশে বিভিন্ন এলাকায় নানা অপকর্ম করে বেড়াত সুলতান। তিনি সন্ধ্যার পর যে এলাকায় ঘুরাফেরা করতেন সেই এলাকায় অটোরিকশা চুরি, ডাকাতিসহ বিভিন্ন অপকর্ম হতো। এ বিষয়ে শ্রীপুর থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম নাসিম বলেন, মোশারফসহ স্থানীয়রা চোর সন্দেহে গণপিটুনি দেওয়ায় সুলতান নামের একজনের মৃত্যু হয়েছে। নিহত সুলতানের নামে কাপাসিয়া থানায় ২০১৮ সালে ডাকাতি ও মাদক সংশ্লিষ্টতার অভিযোগে মামলা রয়েছে। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য গাজীপুর শহীদ তাজউদ্দিন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে চুরির কাজে ব্যবহৃত সরঞ্জাম উদ্ধার করা হলেও তা কোথা থেকে এবং কীভাবে এলো তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।