ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী বাজার, মধুখালী বাজার, বাগাট বাজার , ডুমাইন বাজার সহ উপজেলার ১১টি ইউনিয়নের গ্রামে গ্রামে, রাস্তাঘাটে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব বেড়েছে। বিশেষ করে মাংসপট্টি ও ডাস্টবিন এলাকায় এসব কুকুরের উপদ্রব বেশি। আর এসব স্থান দিয়ে যাতায়াতই হয়ে উঠেছে ঝুঁকিপূর্ণ ও বিপজ্জনক। উপজেলা ও ইউনিয়নে প্রায়ই কুকুরের কামড়ে লোকজন জখম হয়। কিন্তু মধুখালী পৌরসভা ও উপজেলায় জলাতঙ্কের প্রতিষেধক ইনজেকশন নেই। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন অলিগলিতে সকাল থেকেই ঘুরে বেড়ায় কুকুরের দল। বাজারের ক্রেতাদের ক্রয়কৃত খাদ্যসামগ্রী কেড়ে নিতে কুকুরের হামলায় অনেক পথচারী আহত হচ্ছে। মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. আঃ সালাম মিয়া বলেন, প্রতিদিনই দু-একজন রোগী ভ্যাকসিন নিতে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসে। কুকুরের কামড়ে মরন ব্যাধি জলাতঙ্ক রোগ হয়। যার চিকিৎসা ব্যয়বহুল। কুকুরের কামড়ে ভ্যাকসিন না নিয়ে অপচিকিৎসা করলে মৃত্যু অনিবার্য। মধুখালী স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভ্যাকসিন নাই। আগামী বছর পাওয়া গেলে ভ্যাকসিন দেওয়া হবে। বিকল্প হিসেবে অল্প সময়ে মাগুরা ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে তা পাওয়া যায়।