গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে সাবেক মেয়র ও স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমসহ ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করেছেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। অপরদিকে আওয়ামী লীগ মনোনীত মেয়র প্রার্থী আজমত উল্লা খানসহ ৯ জনের মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করা হয়েছে। ঋণখেলাপির দায়ে স্বতন্ত্র মেয়র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল হয়েছে বলে রিটার্নিং কর্মকর্তা মো. ফরিদুল ইসলাম জানান। তিনি বলেন, ‘ঋণখেলাপি হওয়ার কারণে জাহাঙ্গীর আলমের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। তিনি চাইলে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে আপিল করতে পারবেন।’ আজ গাজীপুর শহরের বঙ্গতাজ মিলনায়তনে স্থাপিত সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই করা হয়। রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, গাজীপুরে নিউ টাউন সিটি ওয়্যার নামের একটি কোরিয়ান কোম্পানি অগ্রণী ব্যাংক লিমিটেড থেকে ১শ’ কোটি টাকা ঋণ নিয়েছিল। সেখানে গ্যারান্টার বা জামিনদার হয়েছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। নির্বাচন উপলক্ষে বাংলাদেশ ব্যাংকের সিআইবি (ক্রেডিট ইনফরমেশন ব্যুরো) দেয়া তথ্যে খেলাপি ঋণ দেখানো হয়। সেই তথ্য অনুযায়ী মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। রিটার্নিং কর্মকর্তা জানান, মেয়র পদে ১২ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছিলেন। তাদের মধ্যে ৩ জনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। ৩০০ জন সমর্থনকারীর স্বাক্ষরবিহীন মনোনয়নপত্র জমা দেয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী অলিউর রহমান ও যথাযথ কাগজপত্র না থাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আবুল হোসেনের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়েছে। যাচাই-বাছাই শেষে মেয়র প্রার্থী হিসেবে আওয়ামী লীগের আজমত উল্লা খান, জাতীয় পার্টির এম এম নিয়াজ উদ্দিন, গণফ্রন্টের আতিকুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের গাজী আতাউর রহমান, স্বতন্ত্র আবদুল্লাহ আল মামুন মন্ডল, হারুন অর রশিদ, সরকার শাহানুর ইসলাম ও জায়েদা খাতুন এবং জাকের পার্টির রাজু আহমেদের মনোনয়নপত্র বৈধ বলে ঘোষণা দেন রিটার্নিং কর্মকর্তা। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার ৮ মে, প্রতীক বরাদ্দ ৯ মে এবং ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৫ মে।