লালমনিরহাট সদর উপজেলার পৌর এলাকায় বসবাসকারী আওয়ামিলীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান গরীব অসহায় মানুষের ভরসার স্তলে পরিনত হয়েছে। মানব সেবা করা যার একমাত্র পেশা ও নেশা। সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের রাজনৈতিক জীবনে রয়েছে যত অর্জন। ছাত্র জীবন থেকে তার রাজনীতিতে পর্দাপন, তিনি সর্ব প্রথম ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন। তারপর দায়িত্ব পান পৌর ছাত্রলীগ সভাপতির। পরে পর্যায়ক্রমে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি, এরপর ৮ নং ওয়ার্ড আ’লীগের সদস্য ও জেলা আ’লীগের উপ-প্রচার সম্পাদক হিসাবে সু-নামের সাথে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেন এবং সর্বশেষ জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসাবে দায়িত্বে আছেন। এছাড়াও তিনি রংপুর বিভাগের পরপর ৪ বার সেরা করদাতা হিসাবে বিবেচিত হয়েছেন, লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির ১ বারের পরিচালক ও ২ বারের সহ-সভাপতি হিসাবে মোট ৬ বছর নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। বর্তমানে তিনি জেলা ট্রাক মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক হিসাবেও দায়িত্ব পালন করছেন। গত কয়েক বছর থেকে লক্ষ্য করা গেছে, লালমনিরহাট জেলার আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান দীর্ঘদিন থেকে গরীব-অসহায়-দিনমজুর-ইতিম-পরিবারের মাঝে বিভিন্ন সময়ে-বিভিন্ন ভাবে সহযোগিতা করে আসছেন। সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন নিঃশ্ব সয়সম্বলহীন পরিবারদের প্রতি। অর্থের অভাবে যারা বিয়ের উপযুক্ত মেয়ে ঘরে থাকার পরও বিবাহ দিতে পারছেন না, এমন পরিবারকে খুঁজে-খুঁজে নিজ অর্থায়নে তাদের বিবাহ সম্পুর্ণ করছেন। এ যেন মানব সেবায় বিলিয়ে দিয়েছেন নিজেকে। এমন কি জেলার গরীব-অসহায়-অসু¯’ লোকদের চিকিৎসার জন্য দি”েছন অর্থ সহায়তা। যারা দীর্ঘদিন অসু¯’ থেকে অর্থের অভাবে চিকিৎসা করতে পারছেন না এবং ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনা করাতে না পারা পরিবার গুলোর জন্য একমাত্র ভরসার ¯’ল হয়ে দাড়িয়েছে সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান। আ’লীগ নেতা সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের দীর্ঘদিন মানব সেবার কাজ জেলা জুড়ে সর্বস্তরে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে। দিনমজুর-গরীব-অসহায়-লোকদের প্রাণ প্রিয় হয়ে উঠেছেন সুমন খান এবং আলোচনার কেন্দ্র বিন্দুতে পরিনত হয়েছেন। তার এই মহৎ কাজকে সাধুবাদ জানিয়েছেন জেলা আ’লীগের সভাপতি মোতাহার হোসেন (এমপি) সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ্যাড. মতিয়ার রহমান-সহ সর্বস্তরের নেতা নেত্রীগণ। কেননা ইতি পূর্বে এ জেলায় কোন রাজনৈতিক নেতাকে সমাজের ওই সব অবহেলিত দরিদ্র লোকদের পাশে দাড়াতে বা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিতে দেখা যায়নি। তাই সুমন খানকে নিয়ে সাধারণ মানুষ-রাজনৈতিক নেতা-ও সুশীল সমাজে চলছে আলোচনার ঝর। পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষে সদর উপজেলার পৌরসভা এলাকার ০৯ টি ওয়ার্ডে দিনরাত পরিশ্রম দিয়ে ঈদের খুশি সবার মাঝে ভাগাভাগি করার জন্য ও ঈদ আনন্দ সবার মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্য হতদরিদ্র-অসহায়-দিনমজুর-রিকসাচালক-ভ্যানচালক-বুদ্ধি প্রতিবন্ধী-ও সুবিধা বঞ্চিত-প্রায় ৫ হাজার লোকের মাঝে নগদ ঈদ উপহার হিসাবে অর্থ বিতরণ করেছেন। নগদ অর্থ ঈদ উপহার পেয়ে ৮ নং ওয়ার্ডে ছকিনা বেওয়া (৬৫) ও ৬ নং ওয়ার্ডের আবুল হোসেন (৫৯) এবং ৩ নং ওয়ার্ডের জরিনা বেগম (৪৮) বলেন, ঈদ আসলে আমরা অপেক্ষায় থাকি সুমন খানের। প্রতি ঈদে আমাদের খোঁজ-খবর রাখেন সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান। মাঝে-মধ্যে আমাদের বাড়িতে এসে খোঁজ-খবর নেন। শুধু ঈদ নয়, আমরা বিপদে পড়লে সব সময় পাশে পাই তাকে। হাজার বছর বেঁচে থাক সুমন খান, এ ভাবেই কথা গুলো বলেন তারা। সাধারণ জনগণ ছাড়াও দলীয় বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতা-কর্মীদের পাশে সব সময় ছায়ার মতই আছেন সুমন খান। জেলার মটর শ্রমিকলীগ ১ শত জন-রং ও ইমারত শ্রমিক ১ শত ২০ জন ও পৌর আওয়ামীগের ৯ টি ওয়ার্ডের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদকের মাঝেও ঈদ উপহার হিসাবে নগদ অর্থ বিতরণ করেছেন। চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির সভাপতি ও যুবলীগের সভাপতি মোরল হুমায়ুন কবির, পৌর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আসাদুজ্জামান লিমন, সদর উপজেলা ছাত্রলীগের বিপ্লবী সাধারণ সম্পাদক লুৎফর রহমান আওরঙ্গ ও হারাটীর উদীয়মান সমাজ সেবক রবিউল ইসলাম বলেন, সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের এই মানব সেবা আমাদেরকে মুগ্ধ করেছে, তার সহযোগিতায় জেলার গরীব অসহায় দিনমজুর লোকগুলো উপকৃত হ”েছ। ভবিষ্যতে এই মানব সেবা যেন চলমান থাকে এই পত্যাশায় করি। ক্যাপ্টেন আজিজুল ইসলাম বীর প্রতিক বলেন, উদীয়মান তরুণ নেতৃত্বে দেশ এগিয়ে যা”েছ, বাংলাদেশ এখন বিশ্ব দরবারে মাথা উচু করে দাড়িয়েছে, সাখাওয়াত হোসেন সুমন খানের সেবা মূলক কাজগুলো যথেষ্ট প্রশংসা কুড়িয়েছে। জেলাবাসীর জন্য এটা আর্সিবাদ স্বরুপ,এই ধারাবাহিকতা চলমান থাকুক এটাই কামনা করি। সাংবাদিকদের সাক্ষাৎকারে আওয়ামীলীগের নেতা সাখাওয়াত হোসেন সুমন খান বলেন, আমি সব সময় অসহায়, গরীব মানুষের সেবা করে আসছি, আপনাদের কাছে দোয়া চাই, সারাটি জীবন যেন মানুষের বিপদে-আপদে পাশে থেকে সহযোগিতা করতে পারি।