কাল বৈশাখী ঝড়ে স্বপ্ন ভেঙেছে তরুণ উদ্যোক্তা জাহিদের। নিজের প্রতিষ্ঠা করা দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঝড়ে উপড়ে পড়েছে। এতে করে তিনশত শিক্ষার্থীর ১০টি শ্রেণী কক্ষের শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ফলে আর্থিক সঙ্কটের কারণে সংস্কার কাজ করতে না পারায় বিদ্যালয়ের তিনশ শিক্ষার্থীর পড়ালেখা নিয়ে অভিভাবক ও শিক্ষকরা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন। বলছি খাগড়াছড়ি জেলার দীঘিনালা উপজেলায় মেরুং এলাকায় “লিটল স্টার কিন্ডার গার্টেন” কিশোরীদের জন্য “মেরুং মডেল বালিকা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়” নামের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘরেছেন।
গত রবিবার (২৩এপ্রিল)দুপুরে হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে ভেঙেছে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ১০টি শ্রেণীকক্ষ। এসময় ঝড়ের আঘাতে উপড়ে গেছে শ্রেণী কক্ষগুলো। ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে আছে সমস্ত শিক্ষা কার্যক্রমের আসবাবপত্র।
স্কুলের প্রধান শিক্ষক মোঃ জাহিদুল ইসলাম জানান, নিজের অর্থায়নে তিল তিল করে ঘরে তুলেছেন দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। এলাকায় শিক্ষা প্রসারের কথা চিন্তা করে ২০২০ সালে দুটি শিক্ষা প্রতিষ্টান দাঁড় করিয়েছিলাম।গতকাল এভাবে কালবৈশাখী ঝড়ের আঘাতে দুমড়ে-মুচড়ে গেছে আমার স্বপ্নের শিক্ষা প্রতিষ্টান। বর্তমানে ৩০০শিক্ষাথীর মাঝপথে শিক্ষা কার্যক্রম বিঘ্নিত হওয়ার আশংকা করছি। কিভাবে তাদের স্বপ্ন বাস্তবায়ন করবো ভেবে পাচ্ছি না। নিজের সমস্ত জমানো টাকা এই প্রতিষ্ঠানের পিছনে ব্যায় করেছি। এখন আমি নিঃস্ব! তিনি জানান, প্রতিষ্ঠান গুলো পূর্ণরায় চালু করতে অন্তত ৫ লাখ টাকার প্রয়োজন, এতো টাকা কোথায় পাবো?
এই তরুণ উদ্যোক্তা মোঃ জাহিদ হোসেন, নিজের প্রচেষ্ঠায় ১শ কিলোমিটার দূরের রাঙামাটি সরকারি কলেজ থেকে ২০১৯ সালে হিসাব বিজ্ঞানে স্নাতক ও ২০২০সালে চট্টগ্রাম কলেজ থেকে স্নাতকোত্তর শেষ করে। স্নাতকোত্তর শেষ করেই পুরো দমে শুরু করেন এলাকায় শিক্ষা প্রসারের কার্যক্রম। চাকরির পিছনে না ছুটে নিজের গ্রামেই শিশুদের জন্য “লিটল স্টার কিন্ডার গার্টেন” কিশোরীদের জন্য “মেরুং মডেল বালিকা নিম্ন মাধ্যমিক বিদ্যালয়” নামের দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ঘরেছেন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত পাঠদানের কথা বিবেচনা করে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি বিদ্যালয়ের পরিচালক, শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দ্রুত বিদ্যালয় দু’টির সংস্কারের দাবি জানান।
এ ব্যাপারে দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মুহাম্মদ আরাফাতুল আলম জানান, ‘উর্ধতন কতৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করেছি। যেহেতু শিক্ষা প্রতিষ্ঠান খুব দ্রুত বিদ্যালয় দু’টির সংস্কার করে পূণরায় পাঠদান চালু করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করা হবে বলে আশ্বাস প্রদান করেন।’