বগুড়ার ধুনট উপজেলায় বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী এক নারীকে ধর্ষণ ও অবৈধ গর্ভপাতের পর নবজাতককে মাটিতে পুঁতে রাখার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় পল্লী চিকিৎসক ফরহাদ হোসেনকে (৫৫) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আরেক আসামিকে গ্রেফতারে অভিযান চলছে।
পলিথিনে মোড়ানো নবজাতাকের মরদেহটি উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।
গ্রেফতার ফরহাদ হোসেন ধুনট উপজেলার রুদ্রবাড়িয়া গ্রামের কেএম আবুল ফজলের ছেলে।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলার সাগাটিয়া গ্রামের এক দিনমজুরের বুদ্ধি প্রতিবন্ধী মেয়ের (৩৫) প্রায় ২২ বছর আগে পাশের গ্রামে বিয়ে হয়। তার গর্ভে এক কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। বিয়ের প্রায় পাঁচ বছর পর তাকে ছেড়ে স্বামী নিরুদ্দেশ হয়ে যায়। আর তার কন্যা সন্তান ঢাকায় পোশাক কারখানায় চাকরি করে। ফলে প্রতিবন্ধী ওই নারী সাগাটিয়া গ্রামে নিজ বাড়িতে একাই বসবাস করেন। এ অবস্থায় পার্শ্ববর্তী হিজুলী গ্রামের গোলজার হোসেনের ছেলে আসাদুল সেখ (৪০) কয়েক মাস আগে ওই নারীকে বিধবা ভাতার কার্ড করে দেওয়ার প্রলোভনে ধর্ষণ করে। এরপর থেকে প্রায়ই শারীরিক সম্পর্কে কোন এক সময় নারী অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। বিষয়টি ধাপাচাপা দিতে গোপনে পল্লী চিকিৎসক ফরহাদ হোসেনের চিকিৎসায় ২১ এপ্রিল সকালে ওই নারীকে তার নিজ বাড়িতে গর্ভপাত করানো হয়।
পরে নবজাতকের মৃতদেহ ওই নারীর বাড়ির পাশে ঘাসের জমির মাটির নীচে পুতে রাখে আসাদুল সেখ। ঘটনাটি স্থানীয়দের মাঝে জানাজানির এক পর্যায়ে রবিবার মধ্যরাতে পুলিশ সংবাদ পেয়ে ঘাসের জমি থেকে নবজাতকের (ছেলে) মরদেহ উদ্ধার করে। একই সাথে পল্লী চিকিৎসক ফরহাদকে তার বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ। এ ঘটনায় ভুক্তভোগী ওই নারী বাদী হয়ে সোমবার সকালে আসাদুল সেখ ও ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দায়ের করেন।