পবিত্র ঈদ উপলক্ষে খাগড়াছড়িতে পর্যটকের ঢল নামার আশা করা করছেন অনেকেই। ঈদের বাড়তি আনন্দ উপভোগ করতে হোটেল-মোটেলগুলোতে আগাম বুকিং দিয়ে রেখেছেন পর্যটকরা। করোনাকালীন ঈদগুলোতে হোটেল-মোটেলগুলোর ব্যবসায় ভাটা পড়লেও এবারের ঈদে বাইরের পর্যটকের আগমন বাড়লে ব্যবসা পুষিয়ে নেওয়ার আশা করছেন হোটেল মালিকরা।
পর্যটন স্পটগুলো ঘুরে দেখা গেছে, পর্যটন বিনোদন কেন্দ্রগুলো নতুন রূপে সেজেছে। আলুটিলা, রহস্যময় গুহা ও জেলা পরিষদ হর্টিকালচার পার্কসহ সব পর্যটন কেন্দ্রগুলো পর্যটকের আগমনের জন্য সুন্দর রূপে সাজিয়েছে কর্তৃপক্ষ। জেলায় অনেকগুলো পর্যটন কেন্দ্র থাকলেও সবকিছুকে ছাপিয়ে পর্যটকদের অপার আকর্ষণের টানে বদলে যাওয়া আলুটিলা ও আলুটিলার ব্যতিক্রমী ব্রিজ রয়েছে। এছাড়াও রহস্যময় গুহা ও রিছাং ঝর্ণায় প্রাণ জুড়ে যায় পর্যটকদের আর খাগড়াছড়ি হয়ে যেতে হয় বলে রাঙ্গামাটির সাজেক উপত্যকার উদ্দেশে আসা ভ্রমণপিপাসুরা ভিড় জমান খাগড়াছড়িতেই। ফলে পর্যটকের শহরে রূপ নেয় খাগড়াছড়ি।
শহরের অদূরে পার্বত্য জেলা পরিষদ পরিচালিত জেলা পরিষদ পার্ক, ঝুলন্ত সেতু, নয়াভিরাম লেক পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। এছাড়া খাগড়াছড়িতে দেখার মতো রয়েছে মায়বিনী লেক, হাতি মাথা পাহাড়, দেবতারপুকু, তৈদু ছড়া ঝর্ণা, পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ও পানছড়ির অরণ্য কুঠির।
খাগড়াছড়ি টুরিস্ট পুলিশের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তারা জানান ,পর্যটকরা যাতে নিরাপদভাবে ঘুরতে পারেন, সে ব্যবস্থা নিয়েছে টুরিস্ট ও জেলা পুলিশ। পর্যটনের ম্যানেজার মো. রফিকুল ইসলাম জানান, তাদের মোটেলে এখন বুকিং শেষ পর্যায়ে।